ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ফাইনালে সানরাইজার্স, জয়ের নায়ক রশিদ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৬ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৮
ফাইনালে সানরাইজার্স, জয়ের নায়ক রশিদ আফগান স্পিনার রশিদ খান। ছবি সংগৃহীত

আফগান স্পিনার রশিদ খানের অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে আইপিএলের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে কলকাতার বিরুদ্ধে ১৩ রানের জয় পেয়েছে তার দল।

২৪ বলে ২৮ রান এবং একটি উইকেট তুলে নিয়ে হায়দ্রাবাদকে ফাইনালে তুলতে রশিদ খানের যোগ্য সহযোগীর ভূমিকা পালন করেছেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

শুক্রবার (২৫ মে) ইডেন গার্ডেনে টসে হেরে ফিল্ডিং বেছে নেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক।

ব্যাট করতে নেমে শিখর ধাওয়ান ও ঋদ্ধিমান সাহার ওপেনিং জুটিতে ৫৬ রান তুলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।  

তবে ধাওয়ানের (২৪ বলে ৩৪) বিদায়ে রানের চাকা কিছুটা থমকে যায়। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (৩ বলে ৩) কুলদীপ যাদবের বলে আউট হলে সাকিব আর সাহা মিলে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন।  

তবে দলীয় ১১৩ রানের মাথায় দুর্ভাগ্যজনক রান আউটের শিকার হয়ে ফিরে যান সাকিব। ২৪ বলে ২৮ রান করার পথে চারটি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন বাংলাদেশি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।  

তবে এ ম্যাচের মহানায়কের কীর্তি তখনো রচিত হয়নি। আফগান স্পিনার রশিদ খানের ব্যাট হাতেও যে কতটা বিধ্বংসী হতে পারে তা দেখলো কলকাতাবাসী। মাত্র ১০ বলে চার ছক্কা ও দুই চারে রশিদ খানের ৩৪ রানের ইনিংসে ভর করেই হায়দ্রাবাদ লড়াইয়ের পুঁজি সংগ্রহ করে।  

রশিদ খানের টর্নেডো ইনিংসের বদৌলতে ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রানের টার্গেট দেয় সানরাইজার্স। বল হাতে কলকাতার কুলদীপ যাদব সবচেয়ে সফল, ৪ ওভার বল করে ২৯ রানের বিনিময়ে তিনি তুলে নেন হায়দ্রাবাদের দুটি উইকেট।  

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন ওপেনার সুনীল নারাইন ও ক্রিস্টোফার লিন। ১৩ বলে ২৬ রান তোলা বিধ্বংসী নারাইনকে ফেরান সিদ্ধার্থ কাউল ফেরান। এরপর রশিদ খানের দুর্দান্ত ঘুর্ণিতে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লিউ ফাঁদে পড়েন ক্রিস লিন। আউট হওয়ার আগে ৩১ বলে ৪৮ রানের মূল্যবান ইনিংস উপহার দেন অস্ট্রেলীয় ওপেনার।

এরপর নিতিশ রানাকে রান আউট এবং রবিন উথাপাকে সরাসরি বোল্ড করে সানরাইজার্সকে ম্যাচে ফেরান রশিদ খান। এরপর কলকাতার অধিনায়ক দীনেশ কার্তিককে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান সাকিব আল হাসান। পরে আন্দ্রে রাসেলের উইকেটটিও যখন তুলে নেন আফগান ঘূর্ণি জাদুকর তখনই মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে কলকতা।  

শেষ ওভারে কার্লোস ব্যাথওয়েটের হাতে বল তুলে দেন উইলিয়ামসন। জিততে তখন দরকার ১৯ রান। প্রথম বলে ছয় রান এলেও পরপর দুই উইকেট তুলে নেন ক্যারিবীয় বোলার। দুটি ক্যাচই ধরেন রশিদ খান।  

শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে নয় উইকেট হারিয়ে ১৬১ রানে থামে কলকাতার ইনিংস। ১৩ রানে জয় পান সাকিব-রশিদরা।  

ব্যাট হাতে ৩৪ রানের অতি দরকারি ইনিংস এবং  বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নে আফগান স্পিনার রশিদ খান। কেবল তাই-ই নয় ফিল্ডিয়ে দুটি ক্যাচ ছাড়াও রানআউট করেছেন একটি। মূলত তার একক পারফরম্যান্সেই ফাইনালের দরজা খুলে যায় সানরাইজার্সের। স্বভাবতই ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান রশিদ খান।

ফাইনালে সাকিব-রশিদদের প্রতিপক্ষ মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস।
    
বাংলাদেশ সময়: ০১৪২ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৮/আপডেট: ১০০০ ঘণ্টা
এমএইচএম/এসআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।