লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের তিনটি সীমান্ত পয়েন্টে পুশইনের শিকার ৩ জনকে আটক করেছে বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিজিবি ও এলাকাবাসীর প্রতিরোধে পুশইনের অপেক্ষায় শূন্যরেখায় ৯ জন।
শনিবার (১৪ জুন) সকালে হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম দুই উপজেলার ৩টি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে তাদের পুশইন ও পুশইনের চেষ্টা করে বিএসএফ।
পুশইনের শিকাররা হলেন, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সাতখুটা এলাকার মকবুল গাজীর ছেলে শহিদুল ইসলাম(৩৫), একই এলাকার পুটুনী গ্রামের মৃত কামেম মোল্লার ছেলে আমজাদ মোল্লা (৪০), নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পাটেশ্বরি এলাকার আব্দুল মুকিত মোল্লার ছেলে মামুন মোল্লা(৫০)।
সীমান্তবাসী ও বিজিবি জানায়, হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের দইখাওয়া সীমান্তের ৯০৫/১ এস পিলার এলাকা দিয়ে তিনজনকে জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে বিজিবি তাদের তিনজনকে আটক করে হাতীবান্ধা থানায় সোপর্দ করে। আটকরা ৮-১০ বছর আগে অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে বোম্বে শহরে কাজ করছিলেন। এখন তাদের ধরে এনে জোর করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।
হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন-নবী বলেন, পুশইনের শিকার ব্যক্তিরা বাংলাদেশি হওয়ায় তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিজিবি। আমরা তাদের পরিচয় যাচাই বাছাই করে তাদের কাছে আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করব।
এদিকে হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পূর্ব সারডুবি সীমান্তের ৮৯১ নং পিলার এলাকায় তিনজনকে পুশইনের চেষ্টা করলে বিজিবি ও এলাকাবাসীর প্রতিরোধে পিছু হটে বিএসএফ। ফলে তাদেরকে শূন্যরেখায় বসে রাখে বিএসএফ। তাদের প্রতিহত করতে কঠোর নজদারিতে রয়েছে বিজিবি। একইভাবে বিজিবি ও এলাকাবাসীর প্রতিরোধে পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গারপাড় সীমান্তের শূন্যরেখায় রয়েছে নারীসহ ছয়জন। সব মিলে লালমনিরহাট সীমান্ত এলাকায় তিনজন পুশইন ও নয়জন শূন্যরেখায় অবস্থান করছে।
জেএইচ