সিলেট: ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর ও রোপওয়ে বাঙ্কার এবং বালু লুটপাটের অন্যতম হোতা দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী কাজী আব্দুল অদুদ আলফু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ৩ নং তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ছিলেন।
শনিবার (০৪ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ৩টি হত্যাসহ ১৬টি মামলা থাকলেও এখন সাতটিতে অভিযুক্ত রয়েছেন বলে জানা গেছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের পর আলফু চেয়ারম্যানকে নিয়ে বিশেষ অভিযান চলছে। আলফু মিয়া দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাথর-বালু লুটে জড়িত অন্যান্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
কোম্পানীগঞ্জ থানা সূত্র জানায়, সম্প্রতি সাদা পাথর ও রেলওয়ে, রোপওয়ে বাঙ্কার এলাকায় পাথর লুট এবং বিভিন্ন স্থানে বেআইনি বালু উত্তোলনের ঘটনায় দায়ের করা চারটি মামলায় আলফু চেয়ারম্যান শীর্ষ আসামি ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, আলফু চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন ধরেই পাথর-বালু কাণ্ডে জড়িত ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে গিয়ে আব্দুল আলীকে হত্যা করেন। এরপর দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি এলাকায় পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। প্রতিপক্ষকে শিক্ষা দিতে ভোলাগঞ্জ থেকে ট্রাকযোগে শ্রমিক নিয়ে আসেন। ওই সংঘর্ষে দুইজন নিহত হন। এরপর দুই কোটি টাকা দিয়ে হত্যা মামলা দুটি আপস করা হয়েছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতা মোহ ছেড়ে দেশত্যাগ করলেও বহাল ছিলেন আলফু চেয়ারম্যান। উরপন্তু তিনি সিলেট জেলা যুবদল নেতাকে সঙ্গে নিয়ে বালু উত্তোলনের জন্য ধলাই নদীর একটি অংশ ইজারা নেন। কিন্তু ইজারার পরেও সেতুর নীচ থেকে বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখেন। যে কারণে স্থানীয় মানুষের মধ্যে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে। বিশেষ করে সাদাপাথর, রোপওয়ে বাঙ্কার ও শাহ আরেফিন টিলা এলাকায় নজিরবিহীন লুটপাটের পর তার নামও আলোচনায় আসে।
এনইউ/আরআইএস