উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সত্ত্বেও মধ্যস্থতাকারীরা ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।
আল-জাজিরা তাদের সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, চুক্তিটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও গাজার মানুষ এখনও চরম সংকটের মধ্যে রয়েছে। খাদ্য, পানি ও মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। তীব্র শীত ও প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও অনেকেই খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। গাজার বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার ফিলিস্তিনি এখনও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
ফিলিস্তিনিরা এখনো ইসরায়েলি অনুমতির অপেক্ষায় যাতে করে সীমান্তে আটকে থাকা ত্রাণ গুলো গাজায় প্রবেশ করতে পারে। এই ত্রাণের মধ্যে অস্থায়ী ঘরও রয়েছে। যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, এসব প্রিফ্যাব্রিকেটেড বাড়ি তাদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল।
গাজার রাফাহ সীমান্ত দিয়ে মিসর থেকে এই ঘর গুলো ও ভারী যন্ত্রপাতি প্রবেশ জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এই ঘর গুলো সংকট মোকাবিলার স্থানীয়দের আশ্রয় ও পুনর্বাসনের কাজে লাগবে।
গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, ভারী যন্ত্রের সংকট থাকায় তারা ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করা বা নিহতদের মরদেহ উদ্ধারের কাজও যথাযথভাবে চালাতে পারছে না।
এদিকে, ইসরাইলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে যে তেল আবিব মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছিল— তারা বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দিতে রাজি রয়েছে, তবে তার বিনিময়ে তারা বন্দি বিনিময়ের ধারাবাহিকতা চায়।
সূত্রের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারীরা শিগগিরই যুদ্ধবিরতি চুক্তি অব্যাহত রাখার বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে, গাজার মানুষের দুর্ভোগ কমাতে এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও জোরালো ভূমিকা প্রয়োজন। আশা করা যায়, মধ্যস্থতাকারীরা এই সংকট নিরসনে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এবং গাজার মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫
এমএম