বাগেরহাট: বাগেরহাটের কচুয়ায় দুই সহোদর আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (০৯ জানুয়ারি) গভীর রাতে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা ও ২২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটে নিয়েছে ডাকাত দল।
ডাকাতির কবলে পড়া গোলাম সুকরানা রব্বানী ওরফে আজাদ বালি কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ও কচুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। তার ছোট ভাই সুলতান আলম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক। তারা দুই ভাই স্থানীয় সরকার প্রকৌশল এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঠিকাদার।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকালে বাগেরহাট পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সুলতান আলম বলেন, সোমবার রাত দুইটার কিছু পরে মুখোশধারী সশস্ত্র সাতজনের একটি ডাকাত দল আমার একতলা বাড়ির গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে। তারা ঘরে প্রবেশ করে আমার নাম ধরে ঘুম থেকে ডেকে তুলে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওড়না ও গামছা দিয়ে আমিসহ স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ের হাত পা বেঁধে ফেলে। পরে তারা আলমারির চাবি নিয়ে নগদ টাকা, সোনার গহনা ও তিনটা মোবাইল ফোনসেট নিয়ে নেয়। পরে ডাকাতদল আমাকে বড় ভাই আজাদ বালির ঘরের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে অস্ত্রের মুখে মাকে ডাকতে বাধ্য করে। পরে মা দরজা খুললে গহনা ও নগদ টাকা নিয়ে নেয়। এরপর আমাকে ও মাকে নিয়ে বড় ভাই আজাদ বালির রুমের সামনে গিয়ে মা অসুস্থ বলে ডাকতে বাধ্য করে। এসময় দরজা খুললে সবার হাত-পা বেঁধে টাকা ও গহনা লুটে নেয়। ডাকাতদল চলে যাওয়ার পরপরই ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হলে রাতেই তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দুইভাই ঠিকাদারি করি। শ্রমিকদের বেতন দিতে সব সময়বাড়িতে কমবেশি টাকা রাখতে হয়। ডাকাতরা এ বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখে তা না হলে তারা আমার ঘরে ঢুকে নাম ধরে ডাকবে কেন? নাম ধরে ডাকায় স্বাভাবিক ভাবেই অবাক হয়েছি।
এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছেন তিনি।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ডাকাতদের শনাক্ত করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৩
আরএ
