ঢাকা, শুক্রবার, ৭ ভাদ্র ১৪৩১, ২৩ আগস্ট ২০২৪, ১৭ সফর ১৪৪৬

জাতীয়

টিএসসিতে একদিনে সংগ্রহ নগদ ১৪ লাখ, শুক্রবারও চলবে

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৪
টিএসসিতে একদিনে সংগ্রহ নগদ ১৪ লাখ, শুক্রবারও চলবে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বুথে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) নগদ অর্থ সংগ্রহ হয়েছে ১৪ লাখ ষাট হাজার ১৭৩ টাকা। এছাড়া বিপুল পরিমাণে চিড়া-মুড়িসহ শুকনো খাবার জমা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল দশটা থেকে রাত পর্যন্ত দিনব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ত্রাণ সংগ্রহ করেছেন। শুক্রবারও (২২ আগস্ট) এই ত্রাণ সংগ্রহ চলবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, কিছুক্ষণ পরপর প্রাইভেটকার, রিকশা, ঠেলাগাড়িতে করে ত্রাণ নিয়ে আসছেন রাজধানীর মানুষ। মূল ফটকে নথিভুক্ত করে ত্রাণ রাখা হচ্ছে অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া কক্ষে। সেখান থেকে প্যাকেজিং করে টিএসসি ক্যাফেটিরায় সাজিয়ে রাখা হচ্ছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বুথ থেকে জানানো হয়েছে, সন্ধ্যা পর্যন্ত ত্রাণ প্রদানকৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সামর্থ্য অনুযায়ী অনেকেই ত্রাণ নিয়ে টিএসসিতে জড়ো হচ্ছেন।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগে-হলে শিক্ষার্থীদের নিজ উদ্যোগে বন্যার্ত মানুষের জন্য ফান্ড সংগ্রহ, শুকনো খাবার, প্রয়োজনীয় জামা-কাপড় সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। এছাড়া জেলাভিত্তিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠনও ত্রাণ সংগ্রহ উদ্যোগ নিতে দেখা গেছে।

সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার রাত সোয়া আটটার দিকে জানিয়েছেন, ত্রাণ সহায়তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ফান্ড উত্তোলনের জন্য বিকাশ, রকেট, নগদের মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট চালু করা হয়েছে। ০১৮৮৬৯৬৯৮৫৯ (রকেট লেনদেনের জন্য +৭) নম্বরে অর্থ সহায়তা দেওয়া যাবে।

জমাকৃত ত্রাণের মধ্যে মুড়ি, চিড়া, বিস্কুট, স্যালাইন খেজুর, স্যানিটারি ন্যাপকিন, নগদ অর্থসহ জরুরি প্রয়োজনীয় সামগ্রী রয়েছে।

টিএসসিতে ত্রাণ সংগ্রহ কেন্দ্রে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, বন্যায় দূর্গতদের জন্য প্রথমে উদ্ধার কার্যক্রম করা দরকার। শিক্ষার্থীরা অনভিজ্ঞ। আমি ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ বন্যাকবলিত জেলারগুলোর ডিসিদের বলতে চাই, আপনারা আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসুন।

হাসনাত বলেন, বাংলাদেশ পুনর্গঠন চলছে। এ মুহূর্তে বাঁধ খুলে দিয়ে ভারত সংকট তৈরি করতে চাচ্ছে। ভারত, আপনারা সতর্ক হোন। আমাদের পিঠ দেখানোর দিন শেষ। এখন বুক দেখানোর দিন চলে এসেছে। আমাদের সঙ্গে যে ধরণের আচরণ করবেন আপনাদের সঙ্গেও অনুরূপ আচরণ করা হবে। বর্তমানের আচরণই নির্ধারণ করবে ভবিষ্যৎ ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার সর্ম্পক কেমন হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৪
এমজে

 
 

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।