ঢাকা, বুধবার, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

কাউন্টারে এলেই বিআরটিসি’র টিকিট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৫
কাউন্টারে এলেই বিআরটিসি’র টিকিট ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আর কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই ঈদে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা  মানুষের চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি।

যে যার মতো বাস, লঞ্চ ও ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করছেন।

আর ঈদকে কেন্দ্র করে যানবাহনে যাত্রীদের বাড়তি চাপ কমাতে যোগ করা হয়েছে বাড়তি পরিবহন। তাতেও প্রত্যাশিত যাত্রীদের টিকিট সংকুলান না হওয়ায় প্রতি বছরই ঈদের সময় সরকার নিয়ন্ত্রিত পরিবহন সংস্থা বিআরটিসি’র বিশেষ বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও বিআরটিসি’র ঈদ স্পেশাল সার্ভিসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয় ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে।
 
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ছিলো বিআরটিসি’র টিকিট বিক্রির দ্বিতীয় দিন। এদিন সকাল ৬টা থেকে বিআরটিসি’র প্রায় সবগুলো ডিপোতে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। সকাল ১১টা পর্যন্ত প্রতিটি ট্রিপের অর্ধেক টিকিট বিক্রি হয়েছে, কোনটির ৪০ শতাংশ, কোনটির ৬০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়েছে। তাই কাউন্টারে আসলেই মিলছে বিআরটিসি’র টিকিট।
 
রাজধানীর কল্যাণপুর বিআরটিসি বাস ডিপো থেকে দেওয়া হচ্ছে, রাজশাহী, রংপুর, নওগার টিকিট। এসব রুটের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কিলোমিটার ১ টাকা ৪৫ পয়সার সঙ্গে টোলচার্জ ও অন্য খরচ। এই হিসেবে রাজশাহীর ভাড়া ৪২০ টাকা, রংপুর ৫০০ টাকা এবং নওগাঁ ৪২০ টাকা। বুধবার থেকে শুরু করে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত এ কাউন্টারে রাজশাহীর দ্বিতল বাসের টিকিট বিক্রি হয়েছে এক ট্রিপে ৭৫টির মধ্যে ৩৩ টি, নওগার ৪৯টি এবং রংপুরের ৫২টি টিকিট বিক্রি সম্পন্ন হয়েছে। সবই ২৩ সেপ্টেম্বরের টিকিট।
 
টিকিট বিক্রি প্রসঙ্গে কাউন্টার মাস্টার আমিনুল ইসলাম জানান, আমাদের সবই দ্বিতল বাস সার্ভিস। আমাদের যাত্রী সকল শেণির লোক। এদের মধ্যে বেশির ভাগই পাওয়া যায় গার্মেন্টস কর্মী। তাই গার্মেন্টসের বেতন বোনাস এবং ছুটি শুরু হলেই টিকিট বিক্রি বাড়বে।
 
তিনি বলেন, আমাদের তিন রুটে তিনটি গাড়ির টিকিট বিক্রি শুরু করেছি। যাত্রীদের চাহিদা থাকলে আরও গাড়ি যোগ করবো। এই মুহুর্তে ৮০টি দ্বিতল বাস ছাড়ার মতো ফিট রয়েছে। তাই টিকিটের কোনো সমস্যা হবে না। যাত্রী পেলেই গাড়ি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হবে।
 
একই চিত্র লক্ষ্য করা যায় গাবতলী বিআরটিসি বাস ডিপোতে। কাউন্টারে টিকিট নিয়ে বসে থাকলেও নেই যাত্রীদের ভিড়। কাউন্টার মাস্টার মো. রফিক টিকিট বুকিং খাতা দেখিয়ে বলেন, এখনো কোনো ট্রিপেরই শতভাগ টিকিট বিক্রি হয়নি। আরও ট্রিপ বাড়াবো কি না সেটা যাত্রীদের চাহিদার উপর নির্ভর করছে।
 
টিকিট বিক্রি করতে দেখা যায় মিরপুর-১২ নাম্বার বাস ডিপোতেও। এখানেও নেই যাত্রীদের ভিড়। তবে অন্য কাউন্টারের চাইতে মিরপুরে টিকিট বিক্রি যাত্রীদের সংখ্যা একটু বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
 
কাউন্টার মাস্টার আব্দুল বাতেন বলেন, আমাদের চারটি গাড়ির টিকিট দিয়েছি। প্রথম দিন এবং আজকের (দ্বিতীয় দিন) বেলা ১২টা পর্যন্ত প্রতিটি ট্রিপেরই প্রায় সবগুলো টিকিট বিক্রি হয়েছে। যা দুই একটা আছে সেগুলো পেছেনের দিকের টিকিট। আমরা আরও গাড়ি লাইনে দিবো। বাকী কয়েকটি টিকিট বিক্রি হলেই নতুন গাড়ি লাইনে দেওয়া হবে এবং টিকিট বিক্রি চলবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৫
এসএম/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।