ঢাকা, বুধবার, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

টেকসই উন্নয়নে সরকারকে ৬ সংস্থার ৭ সুপারিশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৫
টেকসই উন্নয়নে সরকারকে ৬ সংস্থার ৭ সুপারিশ ছবি: জি এম মুজিবুর/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পূরণে সরকারের প্রতি ৭টি সুপারিশ তুলে ধরেছেন সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরা। এসডিজি’র ৫ নীতিতে ১৭ লক্ষ্যের কাজ, অর্থের যোগান, জনসম্পৃক্ততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সুপারিশ করেন তারা।



বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন।

‘অ্যাকশন ২০১৫ বাংলাদেশ কোয়ালিশন’ নামের ব্যানারে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে সিভিল সোসাইটির প্রত্যাশা ও সুপারিশ’ শীর্ষক এ সম্মেলনের আয়োজন করে ছয়টি সংস্থা। সংস্থাগুলো হলো, ব্রিট, হেল্পএজ ইন্টারন্যাশনাল, সেভ দ্য চিলড্রেন, সিরাক, স্টেপস টুওয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট ও ওয়ার্ল্ড ভিশন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- স্টেপস টুওয়ার্ডসের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার, ওয়ার্ল্ডভিশন বাংলাদেশের অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর চন্দন জেড গোমেজ, সাবরিনা নুপুরসহ আয়োজক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চন্দন জেড গোমেজ।

প্রতিনিধিরা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন শুধু সরকার প্রধানদের পক্ষে সম্ভব হবে না, যদি জনমানুষের সম্পৃক্ততা না থাকে।

এর প্রেক্ষিতে এসডিজি বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি ৭টি সুপারিশ তুলে ধরেন বক্তারা।

তারা বলেন, ৫ নীতি (মানুষ, পৃথিবী, উন্নতি, শান্তি এবং অংশীদারিত্ব) বাস্তবায়নে ১৭ লক্ষ্য গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ সরকার যখন টেকসই লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নে পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে, তখন এসব নীতি সামগ্রিকভাবে বিবেচনায় যেন রাখে, সেই সুপারিশ করছি।

‘এসব লক্ষ্য নির্ধারণে এক ট্রিলিয়ন টাকা প্রয়োজন’ জানিয়ে তারা বলেন, এ বিপুল অর্থের যোগানে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে দর কষাকষি করতে হবে। শুধু ভিন্ন দেশ থেকে নয়, দেশের বিভিন্ন বেসরকারি খাত থেকেও অর্থের যোগানে চেষ্টা চালাতে সরকারের কাছে সুপারিশ করেন আয়োজকরা।

এছাড়া লক্ষ্য বাস্তবায়নে শিশু, যুব, বয়স্ক ও নারীদের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা নিতে ও বাস্তবায়ন করতে বলেন তারা। সমাজে বিদ্যমান আর্থিক ও শ্রেণি বৈষম্য, অসমতা দূর করে ২০৩০ সালের মধ্যে সাম্যতাভিত্তিক সমাজ গঠনের সুপারিশ করেন তারা।

এছাড়া সর্বস্তরের জনগণকে এতে সম্পৃক্ত করা এবং প্রথম থেকেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে সুপারিশ কর‍া হয়।

দারিদ্র্য-ক্ষুধাহীনতা, সুস্বাস্থ্য, মানসম্মত শিক্ষা, জেন্ডার সমতা, পরিষ্কার পানি ও পয়নিষ্কাশন, আধুনিক শক্তি, ভালো চাকরি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, নতুনত্ব ও অবকাঠামো, অসমতা, টেকসই নগরায়ন এবং সমাজ, দায়িত্ব বণ্টন, গ্রহসুরক্ষা, পানির নিচের ও উপরের জীবন, শান্তি ও নিরাপত্তা, লক্ষ্যার্জনে অংশীদারিত্ব- মোট ১৭টি লক্ষ্য আবারও জানিয়ে দেন সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরা। এক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৫
এসকেএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।