আশুলিয়া (সাভার): আশুলিয়ায় নারী পুলিশ কনস্টেবল সাবিনাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ায় কনস্টেবল জিয়াউর রহমান জিয়াকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে আশুলিয়া থানায় সাবিনার বড় ভাই নজরুল ইসলাম লিটন আত্মহত্যার প্ররোচনার জন্য জিয়াকে দায়ী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এর আগে বুধবার (০৯ নভেম্বর) তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। সেসময় জিজ্ঞাসাবাদে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়ায় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদীর জানান, এ বছরের শুরুতে আশুলিয়া থানায় কনস্টেবল পদে যোগদান করেন সাবিনা। এরপর থেকেই জিয়ার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সাবিনার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন জিয়া। কয়েকদিন আগে জিয়া বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক বিষয়টি জানতে পেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন সাবিনা।
পরে বুধবার দুপুরে আশুলিয়া থানার ব্যারাকের পঞ্চমতলায় নিজ কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন সাবিনা। পরে সহকর্মীরা তাকে ডাকতে গিয়ে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
আত্মহত্যার আগে সাবিনা তার মৃত্যুর জন্য জিয়াকে দায়ী করে একটি চিরকুট লিখে যায়। এরপর পুলিশ জিয়াকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তাকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
এর আগে ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৬
বিএসকে/আরএ
** গ্রেফতারকৃত কনস্টেবল জিয়াকে আদালতে প্রেরণ