ঢাকা: গর্ভবতী মায়েদের জোর করে সিজার করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে সম্মেলন কক্ষে পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ৬০ শতাংশ ডেলিভারি হয়, এটা বাড়িয়ে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ করতে হবে। একইসঙ্গে সিজার হয় ৬০ শতাংশের মতো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গাইডলাইনে সিজারের স্ট্যান্ডার্ড ১৫ শতাংশ, যেটা আমাদের জন্য হার্ড টু রিচ। আমাদের সরকারি হাসপাতালে যেন ২০ শতাংশের বেশি না হয়। প্রাইভেট সেক্টরে ৬০ শতাংশ এবং প্লাস।
সিজারের বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে যথাযথ নির্দেশ দেওয়া রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওটা (বেসরকারি) আমাদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে নেই। আমরা তাদের গাইডলাইন ফলো করতে বলি।
‘আমাদের চেষ্টা আছে সিজারটা যেন কম হয়। কোথাও যদি কোনো কমপ্লেন আসে যে জোর করে সিজার করছে বা ভুল চিকিৎসা করেছে তাহলে উই উইল টেক নেসেসারি অ্যাকশন। এটা তো আমাদের অধিকার রয়েছে। ’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, যারা মা হন আমরা তাদের সচেতন হতে বলি, আজ-কাল আধুনিক মায়েরা প্রসবের কষ্টটা নিতে চান না। তাই তারাই বলেন- আমাকে তাড়াতাড়ি সিজার করে দেন। আমি আর পেইন নিতে চাই না। এ কারণে কিন্তু সিজারের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, শিক্ষিত সমাজেই এ সংখ্যাটা বেশি। আর আমরাও চেষ্টা করি সিজারের কুফল সবাইকে জানাতে।
স্বাস্থ্যসচিব সিরাজুল ইসলাম এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৬
এমআইএইচ/আরআইএস/জেডএস