বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেন।
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ।
তিনি জানান, এএসআই রবিউলকে সাময়কি বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিহত ঠান্ডুর মরদেহ সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে চৌহালী উপজেলার খাস পুকুরিয়া ইউনিয়নের বোয়ালিয়া বন্যা মোড় থেকে ঠান্ডু মিয়াকে আটক করেন এএসআই রবিউল।
রবিউলের দাবি ঠান্ডুকে আটক করে থানায় নেওয়ার পথে মোটরসাইকেল থেকে লাফিয়ে পালাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তবে নিহতের পরিবারের দাবি মামলা না থাকলেও ঠান্ডু মিয়াকে আটক করে নির্যাতন করে পুলিশ। আর এ কারণেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত ঠান্ডু মিয়া টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার দেওজান সলিল গ্রামের হিরু মিয়ার ছেলে।
চৌহালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন জানান, বুধবার অফিসিয়াল কাজে জেলা সদরে ছিলাম। ঠান্ডুকে আটকের বিষয়ে কোন নির্দেশনা দেইনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭
আরএ