বৃহস্পতিবার (২৩ ফ্রেব্রুয়ারি) দুপুরে মন্ত্রী কমলাপুর রেলস্টেশনে ‘জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস’ উদ্বোধনকালে এ আশ্বাস দেন।
এ সময় তিনি বলেন, কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের যে সমস্যা তার সমাধান দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।
মন্ত্রী বলেন, অতীতে সংকট আরও বেশি ছিলো। বর্তমান সরকার সেই সংকট থেকে বেরিয়ে এসেছে।
পরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আখাউড়া-সিলেট ডুয়েল রেললাইন নির্মাণে চীনের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা চলছে। এ আলোচনা শেষ হলেই চুক্তি করা হবে।
মন্ত্রী এ সময় উল্লেখ করেন, নতুন কোচে ঢাকা-সিলেট রুটে গত বছরের শেষ দিকে পারাবত ট্রেন উদ্বোধন করা হয়। এরপর জয়ন্তিকা ও উপবন নামে দুটি ট্রেনে ১২-১৫টি করে কোচ প্রতিস্থাপন করা হয়। সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেসেও বগি সংযোজন করা হচ্ছে।
ঢাকা-সিলেট রুটে কালনী এক্সপ্রেস নিয়ে কিছুদিন আগে বাংলানিউজে ‘কালনী কি এখন খেলনা ট্রেন’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
যাত্রীদের অভিযোগ ছিলো আন্তঃনগর এ ট্রেনে কোনো খাবারের ব্যবস্থা নেই। ট্রেন থেকে খুলে নেওয়া হয়েছে এসি কোচ। কোচ খুলে নিতে নিতে এখন মাত্র ৮ কোচের ট্রেনে পরিণত হয়েছে রেলের ‘ক’ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত আন্তঃনগর কালনী এক্সপ্রেস।
শেষ পর্যন্ত এ নিয়ে কথা বললেন রেলমন্ত্রী। কালনীর সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দিলেন।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফিরোজ সালাহউদ্দিন, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭
এসএ/আরআর/আরআই