শনিবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জনপ্রিয় এই সঙ্গীত শিল্পীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে নিয়ে আসা হয়। সেখানে গার্ড অব অনার এবং শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি কিংবদন্তী এই শিল্পীকে স্মরণ করেন সমাজের বিশিষ্টজনরা।
সংস্কৃতিমন্ত্রী বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জমান নূর বলেন, অসাধারণ সৃজনশীল সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন লাকী আখন্দ। যে বয়স মানুষের শেখার সেই বয়সে তিনি মানুষকে শিখিয়েছেন। লাকী আখন্দ জীবনভর যেটুকু সৃষ্টি করেছেন তা আমাদের জন্য বড় পাওয়া। তার সৃষ্টি অবহেলায় ছড়িয়ে রাখার অবকাশ নেই।
আসাদুজ্জামান নূর আরও বলেন, লাকী শক্তিমান শিল্পী। তার মৃত্যু নেই। তিনি খাঁটি বাঙালি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ছিলেন। বন্ধুর প্রতি শদ্ধা।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, তিনি যেমন গানের জগতে মানুষের মন জয় করেছিলেন তেমনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে মানুষের মন জয় করেছিলেন। তার জন্য যা করার করব। সংরক্ষণের জন্য তার কর্ম সংগ্রহ করা শুরু করব।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেন, তার সাথে যখন দেখা হলো বললো, আমি মনে হয় বেঁচে গেলাম। বন্ধু তুমি বেঁচে থাকো, তুমি তোমার কর্মের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকবে।
শহীদ মিনারে সম্মান জানানো শেষে বাদ জোহর তার দ্বিতীয় জানাজা হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে। এরপর রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে রাজধানীর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে লাকী আখন্দকে।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে আরমানিটোলার বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শিল্পী লাকী আখন্দ। ফুসফুসের ক্যানসারের আক্রান্ত এই শিল্পীর চিকিৎসা দীর্ঘদিন ধরে চলছিল।
লাকী আখন্দের মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ অনেকে।
লাকী আখন্দের জন্ম ১৯৫৫ সালে, পুরান ঢাকায়। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে যোগ দেন লাকী আখন্দ। আরেক কিংবদন্তী ছোট ভাই হ্যাপী আখন্দের সঙ্গে তার যুগলবন্দী বহু বিখ্যাত গানের জন্ম দিয়েছিল। ১৯৮৭ সালে শিল্পী হ্যাপী আখন্দের অকালমৃত্যুর পর সংগীতাঙ্গন থেকে অনেকটাই স্বেচ্ছানির্বাসনে যান লাকী।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৭
এমআইএইচ/এমজেএফ