শনিবার সকালে সাড়ে ১১টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্র চাকমার নেতৃত্বে গার্ড অব অনার প্রদর্শন করা হয় কিংবদন্তী এই শিল্পীকে।
এর আগে শনিবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১০টায় আরমানিটোলা মাঠে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
শহীদ মিনারে সম্মান জানানো শেষে বাদ জোহর তার দ্বিতীয় জানাজা হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে। এরপর রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে রাজধানীর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে লাকী আখন্দকে।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে আরমানিটোলার বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শিল্পী লাকী আখন্দ। ফুসফুসের ক্যানসারের আক্রান্ত এই শিল্পীর চিকিৎসা দীর্ঘদিন ধরে চলছিল।
লাকী আখন্দের মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ অনেকে।
লাকী আখন্দের জন্ম ১৯৫৫ সালে, পুরান ঢাকায়। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে যোগ দেন লাকী আখন্দ। আরেক কিংবদন্তী ছোট ভাই হ্যাপী আখন্দের সঙ্গে তার যুগলবন্দী বহু বিখ্যাত গানের জন্ম দিয়েছিল। ১৯৮৭ সালে শিল্পী হ্যাপী আখন্দের অকালমৃত্যুর পর সংগীতাঙ্গন থেকে অনেকটাই স্বেচ্ছানির্বাসনে যান লাকী।
** নিজের কর্মে বেঁচে থাকবেন লাকী আখন্দ
বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৭
এমআইএইচ/ইইউডি/এমজেএফ