‘সময়োপযোগী কর্মদক্ষতা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে নিজেকে যোগ্যতম করে গড়ে তুলতে হবে। এ ব্রত নিতে হবে পুলিশের প্রতিটি নারী সদস্যকেই।
বাংলানিউজকে এ কথা বলছিলেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তানজিনা আক্তার। কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা ও সাহসিকতার স্বাক্ষর রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ‘বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন অ্যাওয়ার্ড-২০১৭’ এর কমিউনিটি সার্ভিস ক্যাটাগরিতে পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি।
পুলিশের নারী সদস্যদের উদ্দেশে পুরস্কারপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তা বলেন, ‘নারী-পুরুষ নির্বিশেষে একই পরীক্ষা দিয়ে, প্রশিক্ষণ নিয়ে আমরা এই চাকরিতে এসেছি। তাই সময়োপযোগী কর্মদক্ষতা, নিষ্ঠার মাধ্যমে নিজেকে যোগ্যতম করে গড়ে তোলার ব্রত নিতে হবে। ’
তিনি স্পষ্ট করে বলে দেন, কিছুই করতে পারলাম না, কখনো যেন নিজের মনে এই আক্ষেপ না থাকে।
পুরস্কারপ্রাপ্তির অনুভূতি জানিয়ে তানজিনা বলেন, এই সম্মাননা আমাকে আরও সামনে অগ্রসর হতে সহযোগিতা করবে। আগামীতে আরও ভালো কাজ করার চেষ্টা থাকবে।
তানজিনা আক্তার ২০১৩ সালে বাংলাদেশ পুলিশে এএসপি হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে দায়িত্ব পান। তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় এপিবিএনে’র মিডিয়া শাখায়।
এএসপি তানজিনা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা, অপরাধ দমন ও যাত্রী সেবার মানোন্নয়নে কাজ করছেন।
তিনি বিমানবন্দরে ভিভিআইপি ও ভিআইপি প্ররক্ষা (প্রটেকশন ও প্রটোকল), কূটনীতিক, সেলিব্রেটি ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান ব্যক্তিদের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব সাফল্যের সঙ্গে পালন করে আসছেন।
বিমানবন্দরকেন্দ্রিক ছিনতাই, যাত্রী হয়রানি, লাগেজ কাটা ও লাগেজ চুরি, অবৈধ মুদ্রা ব্যবসা প্রতারণা, অবৈধ মুদ্রা পাচার সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধীদের পাকড়াও করেও শীর্ষ পর্যায়ে নজর কেড়েছেন তানজিনা।
২০১৬ সালে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা গার্ড (এনএসজি) ট্রেনিং সেন্টারে অনুষ্ঠিত তিন সপ্তাহ মেয়াদী কমান্ডো ট্রেইনিং কোর্স সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেন এই এএসপি।
২০১৬ সালে কর্মদক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও সাহসিকতার সঙ্গে দেশ এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতি হিসেবে তানজিনার সঙ্গে আরও ২০ নারী পুলিশ সদস্য ও ২ প্রতিষ্ঠানকে ‘বাংলাদেশ উইমেন পুলিশ অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত করা হয়। ২০ এপ্রিল সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৭
এসজেএ/এইচএ/