শনিবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
শুল্ক ফাঁকি ও অর্থপাচারের তদন্তের স্বার্থে গত ২৩ মার্চ প্রিন্স মুসাকে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে হাজির হতে নোটিশ দেওয়া হয়।
ড. মইনুল খান বাংলানিউজকে বলেন, মুসা গত ১৯ এপ্রিল ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ ও প্রফেসর এমএ আজহার নামে দুই চিকিৎসকের কাছ থেকে সনদ সংযুক্ত করে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে স্বশরীরে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরে উপস্থিত হতে সময় চান। আবেদনে মুসা উল্লেখ করেন, তিনি পক্ষাঘাতগ্রস্ত এবং নানান জটিল রোগে আক্রান্ত। তাই ২০ এপ্রিলের নির্ধারিত তলবে হাজির হতে পারছেন না। তার আবেদন বিবেচনা করে দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।
এর ফলে দুই সপ্তাহ পর আগামী ৭ মে বিকেল ৩টায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে হাজির হতে হবে কথিত এ ধনকুবেরকে।
গত ২১ শে মার্চ গুলশান ২ নম্বরের ১০৪ নম্বর রোডের ৮ নং বাড়িতে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মুসার ব্যবহার করা একটি রেঞ্জ রোভার গাড়ি জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা। গাড়িটি ভোলা বিআরটিএ থেকে ভুয়া বিল অব এন্ট্রি দিয়ে জনৈক ফারুকুজ্জামানের নামে রেজিস্ট্রেশন করানো হয়। জব্দ করার সময় গাড়ির নম্বর দেখা যায় ভোলা ঘ ১১-০০৩৫।
এছাড়া গাড়ির চেসিস অনুসারে এটি ‘কার্নেট ডি প্যাসেজ’ সুবিধার ব্যবহার করে আনা হলেও শর্ত মোতাবেক পুনঃরপ্তানি হয়নি। পরে গাড়ির মূল রংও বদলে ফেলা হয়। আমদানিকালে রং ছিল অ্যাশ, রেজিস্ট্রেশনে উল্লেখ করা হয় সাদা বলে, আর পাওয়া যায় কালো রং। গাড়িটির বাজারমূল্য আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকা। জালিয়াতি করে ২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা শুল্ক কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৭/আপডেট ১৭১২ ঘণ্টা
এসজে/এইচএ/