শুক্রবার (০৩ নভেম্বর) দুপুরে রাঙামাটির রাজবন বিহার প্রাঙ্গণে বৌদ্ধ সমাবেশের মধ্য দিয়ে চাকমা সার্কেলের চিফ রাজা দেবাশীষ রায় পার্বত্য ধর্মীয় গুরু বনভন্তের শীর্ষ মণ্ডলীর কাছে এ চীবর উৎসর্গ করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, রাঙামাটি সদর জোন কমান্ডার লেফট্যানেন্ট কর্নেল রিদওয়ান, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাজবন বিহারের সিনিয়র সভাপতি গৌতম দেওয়ান, চাকমা রাণী ইয়েন উপস্থিত ছিলেন।
পরে পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হয় সংঘদান, অষ্ট পরিস্কার দান, বুদ্ধ মূর্তি দান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তৈরি পূণ্যার্থীদের কঠিন চীবর দান উৎসর্গ।
বিকেলে সমবেত পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে ধর্মীয় দেশনা দেন বৌদ্ধধর্মীয় অন্যতম গুরু মহামতি বনভান্তের প্রধান শিষ্য শ্রী প্রজ্ঞালংকর মহাস্থবির।
এদিকে, রাজবন বিহারে ২ দিনব্যাপী ৪৪তম কঠিন চীবর দান উৎসবে লাখো পুণ্যার্থী অংশগ্রহণ করে। এই উৎসবকে ঘিরে দুইদিন রাঙামাটি শহর ছিল উৎসবের নগরী। ধর্মীয় উৎসব হলেও পুরো আয়োজনটি পরিণত হয় পার্বত্যবাসীর মিলন মেলায়।
রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে ১৯৭৭ সালে এক স্বর্গীয় অনুভূতিতে বনভান্তে বিশাখা প্রবর্তিত নিয়মে সর্বপ্রথম কঠিন চীবর দান প্রচলন করেন। এর আগে ১৯৭৩ সালে রাঙামাটির তিনটিলা বৌদ্ধ বিহারে এই কঠিন চীবর দান করা হয়। রাজবন বিহারে ৪৪ বছর ধরে এ নিয়মে কঠিন চীবর দান উৎসব উদযাপিত হয়ে আসছে।
বাংলাদেশ সময়; ১৯০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৭
টিএ