সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাগেরহাট সার্কিট হাউস মিলানায়তনে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম)-এর আয়োজনে দিনব্যাপী এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ লোক প্রশাসন কেন্দ্রের সহযোগিতায় এ সম্মেলন বাস্তবায়ন করে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নায়েম’র মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ এমডি গোলাম ফারুক।
নায়েম’র সহকারী পরিচালক ড. কল্যানি নন্দীর সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন নায়েম’র সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. খান মাইনুল, পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় ও সরকারি পিসি কলেজের অধ্যক্ষ অভিজিৎ বসু।
জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শাহিন হোসেন, সিভিল সার্জন অরুন কুমার মণ্ডল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আফতাব উদ্দিন আহমেদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিয়া হায়দার চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মল্লিক রুহুল আমিন, জেলা সমবায় কর্মকর্তা শেখ ফজলুল করিম, সরকারি পিসি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মো. তানজির মোড়লসহ বাগেরহাট জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলন শেষে জেলা সমবায় অফিস, নির্বাচন অফিস ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সরকারি সেবা বৃদ্ধির জন্য নেওয়া প্রকল্পের ভিডিও চিত্র উপস্থাপন করেন।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. সৈয়দ এমডি গোলাম ফারুক বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য কাজ করছে। এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে কোয়ালিটি এডুকেশন নিশ্চিত করা। এ জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমাজের সমন্বয় করতে হবে। শিক্ষার্থীদের কমিউনিটি সার্ভিসের জন্য কাজ করতে হবে। আর এ জন্য নায়েম সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
দেশের সব মানুষের শ্রদ্ধা ও সম্মান বৃদ্ধির জন্য কাজ করে কাইযেন। নায়েম তার প্রশিক্ষণার্থীদের সর্ব প্রথম ভদ্রতা শেখায়। সবাইকে সম্মান করা আমাদের মূল উদ্দেশ্য। আর কাইযেন সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সেবার মান বাড়ানোর চেষ্টা করে নায়েম।
উল্লেখ্য, জাপানি শব্দ কাই অর্থ পরিবর্তন আর যেন মানে ভালো। কাইযেনের শাব্দিক অর্থ হচ্ছে সুপরিবর্তন বা ভালো পরিবর্তন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮
এসআই