প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের যাত্রাপথ সহজ করতে সরকার নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। রূপগঞ্জের ভুলতার এ ফ্লাইওভারটিও এর একটি।
শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে এশিয়ান হাইওয়ের ভুলতা ফ্লাইওভারের গাজীপুর-মদনপুর সড়কের একটি লেন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম থেকে অংশগ্রহণ করে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ফ্লাইওভারটি চালু হওয়ায় রূপগঞ্জের সঙ্গে যোগাযোগ উন্নয়নের পাশাপাশি বাণিজ্যও বাড়বে। সময় কমবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের। রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি ও তারাবো পৌরসভার মেয়র হাসিনা গাজী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান ভূঁইয়া, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগম, রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি কলামিস্ট লায়ন মীর আব্দুল আলীম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আল আমিন দুলাল প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করার পরপরই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভুলতা ফ্লাইওভার গাড়ি চলাচলের জন্য আংশিক খুলে দেওয়া হয়েছে। সকালে এশিয়ান হাইওয়ের ভুলতা ফ্লাইওভারের গাজীপুর-মদনপুর সড়কের একটি লেন যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এসময় ফ্লাইওভারের দু’পাশে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ফ্লাইওভার উদ্বোধনের আগে থেকে অনেক মানুষ গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। ফ্লাইওভার খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা গাড়ি নিয়ে ওঠেন।
ফ্লাইওভার দেখতে আসা বিভিন্ন বয়সী মানুষ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, রূপগঞ্জবাসীর বহুদিনের স্বপ্ন আজ পূরণ হতে চলেছে। গাড়ি চলাচলে প্রত্যাশিত গতি আসবে বলেও মনে করেন তারা।
রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি কলামিস্ট লায়ন মীর আব্দুল আলীম বলেন, এটি রূপগঞ্জবাসীর প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার। বহু প্রতীক্ষার পর রূপগঞ্জবাসীকে যানজট থেকে রেহাই দিতে এ ফ্লাইওভারটি খুলে দেওয়া হয়েছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগম বলেন, ভুলতা ফ্লাইওভার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ওই এলাকার যানজট অনেকাংশে কমে যাবে। কমে যাবে সাধারণ মানুষের ভোগান্তিও।
জানা গেছে, বর্তমান সরকার ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে ২৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে চার লেন বিশিষ্ট ভুলতা ফ্লাইওভারটি নির্মাণে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ফ্লাইওভারটি নির্মাণের কাজ পেয়েছিল চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ২৪ ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানি, স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ও এএম বিল্ডার্স।
চার লেন বিশিষ্ট ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য হবে ১ দশমিক ২৩৮ কিলোমিটার। মূল ফ্লাইওভার নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২০ কোটি টাকা। সড়ক নির্মাণে ব্যয় ১১২ কোটি টাকা এবং অন্যান্য ব্যয় ধরা হয় সাড়ে ৭ কোটি টাকা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারায় প্রকল্পটির মেয়াদ আরো ১ বছর বাড়ানো হয়। একইসঙ্গে গত বছরের ৮ আগস্ট ফ্লাইওভারটি নির্মাণে আরো ৫৮ কোটি ৫১ লাখ ২০ হাজার ৪৮৬ টাকা ব্যয় বাড়ায় মন্ত্রিসভা কমিটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৯
আরবি/