ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

আইটেকে ভারতের বড় অংশীদার বাংলাদেশ: হাইকমিশনার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৯
আইটেকে ভারতের বড় অংশীদার বাংলাদেশ: হাইকমিশনার

ঢাকা: ভারতের কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা (আইটেক) দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশ বলেছেন, আইটেকের যাত্রা শুরু হওয়ার পর বিশ্বের ১৬১টি দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে। পারস্পরিক স্বার্থে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের এই আইটেক প্রকল্পে বাংলাদেশই ভারতের অন্যতম বড় অংশীদার।

শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকার কাকরাইল রোডের আইডিইবি ভবনের মূল মিলনায়তনে ভারতীয় হাইকমিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে রীভা গাঙ্গুলী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এমপি।

১৯৬৪ সালে ভারতীয় কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা কৌশল কাঠামোর আওতায় ভারতের উন্নয়ন সহযোগিতা কর্মসূচির অংশ হিসেবে আইটেক কর্মসূচি চালু হয়। যার মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ভারতের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা এবং যথাযথ প্রযুক্তিগত সুবিধা দেওয়া হয়। প্রতিবছর হিসাব, নিরীক্ষা, ব্যবস্থাপনা, এসএমই, গ্রামীণ উন্নয়ন, সংসদীয় বিষয়াবলীর মত বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ কোর্সের জন্য ১৬১টি সহযোগী দেশে ১০ হাজারের বেশি প্রশিক্ষণ পর্বের আয়োজন করা হয়।  ছবি: ডিএইচ বাদলরীভা গাঙ্গুলী বলেন, প্রতিবছর তালিকাভুক্ত ভারতের ৫০টি প্রতিষ্ঠান আইটেক প্রকল্পের আওতায় স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী প্রায় ৩০০টি প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করে থাকে। এসব কোর্সের পুরোপুরি অর্থায়ন করে ভারত সরকার। প্রকল্পটির আওতায় বিভিন্নমুখী কর্মকাণ্ডের ফলে ভারত কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন ও বিশেষজ্ঞ গড়ে তুলছে বলে এখন অন্য দেশগুলোর মধ্যেও এক্ষেত্রে আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

তিনি জানান, ছয় বছরে বাংলাদেশের ১ হাজার ৪৮৯ জন মধ্যম পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা মিড-ক্যারিয়ার ট্রেনিং প্রোগ্রামের (এমসিটিপি) আওতায় দেরাদুনের মুসোরিতে ন্যাশনাল সেন্টার ফর গুড গভর্ন্যান্সে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। একই প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার ১২৫ জন ডিসি বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত আইটেক প্রকল্পে ৩ হাজার ৮০০ জনের বেশি বাংলাদেশি তরুণ পেশাজীবী ভারতে এ ধরনের বিশেষায়িত স্বল্প ও মধ্যম পর্যায়ের কোর্স সম্পন্ন করেছেন।

সামনের দিনগুলোতেও বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার নিবিড় সহযোগিতার সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে হাইকমিশনার বলেন, আমি আশা করি যেসব তরুণ বাংলাদেশি বন্ধুরা এসব কোর্সে যাবেন, তারা ভারতের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও আতিথেয়তা উপভোগ করবেন। সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় উড়ছে বাংলাদেশ-ভারতের পতাকা।  ছবি: ডিএইচ বাদল১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে বাংলাদেশ সবসময় ভারতকে পাশে পাবে।

আইটেক প্রকল্পের আওতায় ভারতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ আকাশ, পুলিশ কর্মকর্তা খোলশেদ আলম, রেলওয়ের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শুভ জ্যোতি দে, নরসিংদীর কলেজ শিক্ষক তাসলীমা পারভীন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

বিশিষ্ট অতিথিবর্গের পাশাপাশি প্রায় ৩০০ জন সাবেক আইটেক শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে দু’দেশের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও সংগীত পরিবেশন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৯
এমআইএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।