মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন স্বাক্ষরিত বুধবার (২১ আগস্ট) এক পরিপত্রে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, সরাকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি-কাম-প্রহরী পদে আউটসোসিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যমান নীতিমালার আলোকে জনবল নিয়োগের কার্যক্রম পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হলো এবং ইতোমধ্যে যদি কোনো উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য দপ্তরি-কাম-প্রহরী পদে নিয়োগ কার্যক্রম চলমান থাকে তা বাতিল করা হলো।
সব উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা প্রাথকি শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ পরিপত্রের কার্যাবলি পালনের জন্য বলা হয়েছে।
দেশের ৬৬ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন করে সম্পূর্ণ অস্থায়ী এই দপ্তরি পদে নিয়োগে এর আগে অর্থ লেনদেনসহ নানা অভিযোগ উঠেছিল।
পরে মন্ত্রণালয় ২৩ এপ্রিল ‘সতর্কতামূলক গণবিজ্ঞপ্তিতে’ জানায়, দপ্তরি পদে চাকরি নেওয়ার জন্য অর্থ দেওয়া সমীচীন হবে না।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রত্যেকটিতে একটি করে অস্থায়ী ভিত্তিতে সৃজিত দপ্তরি-কাম-প্রহরী পদে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগের উদ্দেশ্যে জারি করা নীতিমালা অনুযায়ী উপজেলা শিক্ষা কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই পদটি সরকারের রাজস্ব খাতের কোন পদ নয়। এটি সম্পূর্ণ অস্থায়ী পদ।
‘এই মর্মে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে যে, এই পদে নিয়োগের জন্য কোন কোন ব্যক্তির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করা হচ্ছে। যেহেতু এই পদটি সম্পূর্ণ অস্থায়ী পদ এবং এটি রাজস্ব খাতের কোন পদ নয় সেহেতু এই পদে যারা নিয়োগ পাচ্ছেন তাদের চাকরি স্থায়ী হওয়ার কোন নিশ্চয়তা নেই। ’
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দপ্তরি-কাম-প্রহরী পদে চাকরি নেওয়ার জন্য কোন ব্যক্তি, কর্মকর্তা বা কোন প্রতিষ্ঠানকে অর্থ দেওয়া সমীচীন হবে না। এতে এই পদে চাকরি প্রার্থী ও চাকরিগ্রহীতা চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।
এমতাবস্থায় সম্পূর্ণ অস্থায়ী পদ হিসেবে সৃজিত দপ্তরিপদে নিয়োগ লাভের জন্য কোনরূপ আর্থিক লেনদেন না করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে পরামর্শ দিয়েছিল মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৯
এমআইএইচ/এএটি