বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ জেলা সদরের হিমাইতপুর ইউনিয়নের কাজিপাড়া গ্রাম থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করেছে। এ সময় শিশুটিকে বিক্রির অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে।
আটকরা হলেন- হেলাল উদ্দিন, তার স্ত্রী রুবি খাতুন, শ্বশুর আব্দুল্লাহ ও শাশুড়ি। এদের সবার বাড়ি কাজিপাড়া গ্রামে। হেলাল উদ্দিন ঢাকায় কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন। তিনি এবং তার স্ত্রী ঢাকা থেকে শিশুটিকে পাবনায় এনেছেন বলে জানা গেছে।
শিশু উদ্ধার অভিযানে আটক হেলাল উদ্দিন বলেন, শিশুটি ঢাকার উত্তরা এলাকার শাফিকুল ইসলাম ও শাহিদা বেগম দম্পতির। তারা নিজ ইচ্ছায় শিশুটিকে লালন পালনের জন্য হেলাল উদ্দিন ও তার স্ত্রীকে দিয়েছিলেন। পরে তারা শিশুটি প্রতিবেশী এক নিঃসন্তান দম্পতির জন্য পাবনায় নিয়ে আসেন বিক্রির জন্য।
ঘটনার বিষয়ে পাবনা হিমাইতপুর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা (এসআই) হাবিবুর রহমান জানান, গ্রামের এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে বিক্রির জন্য হেলাল ও তার স্ত্রী রুবি শিশুটিকে ঢাকা থেকে পাবনায় নিয়ে আসেন। পাবনার এক দম্পতির সঙ্গে ২০ হাজার টাকায় শিশুটিকে বিক্রির বিষয়ে তাদের কথা হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয় লোকজন আমাদের খবর দেয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে।
পুলিশ আরো জানান, আটক হেলাল উদ্দিনের দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী আমরা শিশুটির পরিবারের খোঁজ বের করার চেষ্টা করছি। উত্তরা থানাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। প্রকৃত অভিভাবক খুঁজে পেলে শিশুটিকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তা পল্লব ইবনে শায়েখ বলেন, এই সময়ে শিশু কেনাবেচা ভাবতেই গা শিউরে উঠে। এতো ছোট শিশু এখনো সে নাজুক অবস্থার মধ্যে রয়েছে। শিশুটিকে অতিদ্রুত মায়ের যত্নে নিতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিভাবকের খোঁজ না পাওয়া গেলে আমরা শিশুটিকে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে রাজশাহী বেবি হোমে পাঠিয়ে দেবো।
এদিকে শিশুটিকে উদ্ধারের খবরে জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তারাসহ বিভিন্ন দপ্তরের লোকজন সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন। তারা শিশুটির শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৯
জেডএস