বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে জানাজা শেষে নিহতের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তার মরদেহ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে মরদেহ এসে পৌঁছায় এবং মধ্যরাতে বাড়ি আসে।
ইমরানের প্রতিবেশী আবু বকর শিকদার বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে দক্ষিণ আফ্রিকায় নিহত ইমরানের প্রথম জানাজা শেষে তার পরিচিত বাংলাদেশীরা তার মরদেহ ইতিহাদ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তুলে দেন। পরদিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার মরদেহ ঢাকা পৌঁছায়। ইমরানের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছালে শোক নেমে আসে পুরো এলাকায়। শেষবারের মতো ইমরানকে দেখতে শত শত মানুষ ভিড় জমান তার বাড়িতে।
দরিদ্র পরিবারের সম্বল জমিটুকু বিক্রি ও ধার-দেনা করে সাত লাখ টাকা যোগাড় করে একমাত্র ছেলেকে বিদেশে পাঠান বাবা। আশা পরিবারের দৈন্যদশা দূর হবে। আর্থিক কষ্ট দূর হবে। দেড় বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়ে ওখানকার ওরেঞ্জফার্ম এলাকায় একটি দোকান দেন শিবচরের ইমরান। গত সোমবার (২১ অক্টোবর) রাতে একদল বন্দুকধারী হানা দেয় দোকানে। ডাকাতি শেষে পেট্রোল ধরিয়ে দেয় দোকানে। ভেতরে আটকা পড়ে ইমরান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) ভোরে সেখানকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
** দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্তানের মৃত্যু: মা-বাবার স্বপ্ন পুড়ে ছাই
** সাউথ আফ্রিকায় ডাকাতের দেওয়া আগুনে বাংলাদেশির মৃত্যু
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
এসআরএস