সোমবার (২৮ অক্টোবর) জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলালের কাছে লিখিত ওই আবেদন করেন নির্মাণ শ্রমিক সরদার খান আছাবুর রহমান। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউএনও শাহনাজ বেগম।
অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭-১৯ অর্থবছরে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় ডুমুরিয়ায় ৩৯৯টি ঘর নির্মাণ করেন আছাবুর। সে সময় প্রতিটি ঘর নির্মাণের মজুরি ও পরিবহনসহ অন্যান্য খরচ বাবদ ১৪ হাজার করে টাকা চুক্তি হয় ইউএনওর সঙ্গে। তখন ইউএনও আছাবুরের কাছে ৫ লাখ টাকার একটি ভাউচারে স্বাক্ষর নেন। এছাড়া প্রতিটি ঘর বাবদ ১৪ হাজারের জায়গায় ১৭ হাজার টাকার ভাউচারে স্বাক্ষর দিতে বলেন। কিন্তু স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানানোয় তাকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। তাতেও কাজ না হওয়ায় শেষমেশ ১৪ হাজার টাকার ভাউচারেই স্বাক্ষর করেন ওই নির্মাণ শ্রমিক। প্রকল্প বাবদ আছিবুরের মোট পাওনা দাঁড়ায় ৫৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে তিনি মাত্র ৪৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকা পেয়েছেন। ইউএনও বর্তমানে পাওনা বাকি ৬ লাখ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
আছাবুর আরও জানান, ১৭ হাজার টাকার ভুয়া ভাউচারে স্বাক্ষর না করায় নানা অজুহাতে ইউএনঅ তাকে টাকা দিতে চাইছেন না। অন্যদিকে বাকি টাকার জন্য অন্য শ্রমিকদের চাপে আছাবুর নিজের মোটরসাইকেল ও বসতভিটার ৩ শতক জমি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন।
অভিযোগপত্রের ব্যাপারে জানতে চাইলে বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে জেলা প্রশাসক বাংলানিউজকে বলেন, শ্রমিক সরদার খান আছাবুর রহমানের একটি আবেদন পেয়েছি। বিষয়টির তদন্ত চলছে।
এদিকে একই দিন ইউএনও শাহনাজ বেগম বিষয়টি সঠিক নয় দাবি করে বাংলানিউজকে বলেন, এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার কাছে সব কাগজপত্র আছে। আছাবুর আমার কাছে কত টাকা পান, এবং আমি তাকে কত টাকা দিয়েছি সব কিছুরই কাগজপত্র আমার কাছে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
এমআরএম/এইচজে