বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন আমন সংগ্রহ ২০১৯-২০ কার্যক্রম বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথাগুলো বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এ বিভাগের কর্মকর্তাদের মনে যদি পোকা না থাকে তাহলে খাদ্য গুদামের চালে কখনই পোকা ধরবে না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়সম্পূর্ণ হয়েছে। অন্যান্য বারের চেয়ে এবার বোরো মৌসুমে সবচেয়ে বেশি চাল কেনা হয়েছে। যা চলতি আমন মৌসুমে আর বেশি চাল ক্রয় করা হবে।
এসময় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. নাজমানারা খানম, পরিচালক (সংগ্রহ) জুলফিকার রহমান, রংপুরের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রায়হানুল কবির, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি, জাকিয়া তাবাসসুম জুই এমপি উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ইতোপূর্বে যে সব জায়গায় ধান উৎপাদন হতো না এখন সেইসব জায়গায় ধান উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষকদের কষ্ট লাঘবে সরকার ধানের বিভিন্ন জাত উদ্ভাবন করছে। দেশে বর্তমানে ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে। মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা আজ ধানের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কৃষকরা তাদের কষ্টে উৎপাদিত ধানের যাতে ন্যায্য মূল্য যেন পায় সে ব্যাপারে প্রশাসনের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।
চালকল মালিক গ্রুপের নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ধান ও চাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে খাদ্য বিভাগের কাছে যে সব চালকল মালিক গ্রুপের পক্ষ থেকে তালিকা দেওয়া হয় তা থেকেই ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ করা হয়। বরাদ্দকৃত মিলগুলোর মধ্যে অনেক মিল একেবারে অচল হয়ে পড়েছে। তাদের কাছ থেকে নিম্নমানের ধান ও চাল গুদামে আসছে। যে সব মিলের কার্যক্রম একেবারে অচল সে সব মিলের তালিকা না পাঠানোর জন্য মন্ত্রী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পাশাপাশি গমের উৎপাদন কমে যাওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, দেশে আশঙ্কাজনক হারে গমের আবাদ কমে যাচ্ছে। যা চিন্তার বিষয়। সরকারকে প্রতি বছর ৭ লাখ মেটিক টন গম আমদানি করতে হচ্ছে। আগামীতে ধানের পাশাপাশি গমের আবাদ বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানান।
খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের কারণে কৃষকরা প্রতিনিয়ত নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। এধরনের কর্মকাণ্ড কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। শুধু মাত্র ৫/৬ জন কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনে ছবি ফেসবুকে ও ফটোসেশন করেন খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। তা কখনই করা যাবে না। প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক বাছাই করে তাদের কাছ থেকে ধান ও চাল ক্রয় করা হবে। খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের মনের ভেতর যদি পোকা না থাকে তাহলে গুদামে রক্ষিত চালেও পোকা ধরবে না। তাই খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের মনের ভেতর পোকাকে মারতে হবে। খুব শিগিগরই খাদ্য গুদামগুলোকে কীটনাশক ও স্প্রে মেশিন দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
এসএইচ