ঢাকা: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের মানুষকে একটি সুস্থ্য, সুন্দর, দূষণমুক্ত ও বাসযোগ্য পরিবেশ উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছিলেন। এ লক্ষ্যে তিনি 'ওয়াটার পল্যুশন কন্ট্রোল অর্ডিন্যান্স, ১৯৭৩' জারি করে দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি আরম্ভ করেন।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, তারই রক্তের উত্তরাধিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে দূষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করছে।
বঙ্গবন্ধুর ৪৬ তম শাহাদত বার্ষিকী ও 'জাতীয় শোক দিবস' উপলক্ষ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী হাবিবুন নাহার। মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা কর্মচারীরা এতে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এটা আসলে অত্যন্ত বেদনার বিষয় যে, যুদ্ধবিধ্বস্ত প্রিয় মাতৃভূমিকে যখন তিনি স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছিলেন, ঠিক সে মুহূর্তে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের ষড়যন্ত্রে কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতের অন্ধকারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এমন একটি রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন যেটি সমৃদ্ধি ও সম্মানের ক্ষেত্রে বিশ্বের উন্নত সভ্য জাতিগুলোর মধ্যে একটি সম্মানজনক অবস্থানে থাকবে। জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে দল, মত, জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও লিঙ্গ নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত করতে পারলে জাতির পিতার প্রতি সত্যিকারের শ্রদ্ধা জানানো হবে।
আলোচনা সভার পর বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভার আগে পরিবেশ মন্ত্রী শহিদদের স্মরণে বন অধিদপ্তরে একটি বৃক্ষের চারা রোপণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২১
এমআইএইচ/কেএআর