ঢাকা, বুধবার, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে কমিশন গঠন করতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২১
১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে কমিশন গঠন করতে হবে

ঢাকা: ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রকারী ও নেপথ্য কুশীলবদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন করতে হবে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।  

তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ও সুবিধাভোগীদের মুখোশ উন্মোচন করে জনগণের সামনে তাদের আসল পরিচয় তুলে ধরতে হবে।

ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় এনে ও বিদেশে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।  

রোববার (১৫ আগস্ট) ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সম্মেলনকক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু যখন অর্থনৈতিক মুক্তি ও সবুজ বিপ্লবের ডাক দিলেন তখনই ষড়যন্ত্রকারীরা জাতির পিতাকে হত্যা করে। পরাজয়ের গ্লানি মোচনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। সপরিবারে হত্যার কারণ ছিল বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নেতৃত্বে যেন স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও শক্তি এদেশে আর ঘুরে দাঁড়াতে না পারে।  

প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বাংলাদেশ শিশু একাডেমির কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শ ও চেতনা শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। আজকের শিশুরাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০৪১ সালের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে।

সভাপতির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু  বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, ঘাতকেরা জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে তার চেতনা ও আদর্শকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু তা করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা বাংলাদেশে চিরপ্রবাহমান।

মহিলা ও শিশু  বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম, মহাপরিচালক জ্যোতি লাল কুরী, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস, জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান, অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন ও জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাকসুরা নূরসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তারা।
 
অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি মন্ত্রণালয়ের দপ্তর-সংস্থার মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।  

এর আগে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে শিশুরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনার ওপর ছড়া, কবিতা ও স্বরচিত কবিতা পরিবেশন করে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২১
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।