ঢাকা: ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কোনো সেনা বিদ্রোহ ছিল না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আর পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সহায়তায় এদেশীয় কিছু খুনীদের ভাড়া করে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারবর্গের উপর। জেনারেল জিয়া এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এটি দিবালোকের মতো সত্য।
রোববার (১৫ আগস্ট) বিকেলে কৃষিবিদ কনভেনশন হলে জাতীয় শোক দিবস উপলকে শোকসভা ও অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, যেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলো তারপরে একটি মিছিল হলো না? প্রতিবাদ- প্রতিরোধ হলো না, কেন হলো না? কাদের ব্যর্থতার কারণে সেদিন প্রতিরোধ হলো না? কাদের দায়িত্ব ছিল সেদিন এই প্রতিবাদে-প্রতিরোধের ডাক দেয়ার।
তিনি বলেন, খুনী মোশতাক-জিয়ারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বাধাগ্রস্থ করার ষড়যন্ত্র করেছিল। কেন কনফেডারেশন তৈরি করা? আর তাই যদি সত্য হয় তাহলে একাত্তরে দেশ স্বাধীনতার পরে মোশতাক-জিয়াকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে কেন তাদের বিচার করা হলো না? সেই কারণেই মুক্তিযুদ্ধে যারা আমাদের সঙ্গে পরাজিত হয়েছিল যে আন্তর্জাতিক শক্তি পাক-চীন-মার্কিন শক্তি আর এদেশের কিছু ষড়যন্ত্রকারী ঐক্যবদ্ধভাবে এক বিরাট জাল বিস্তার করেছিল।
নানক বলেন, আবার মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত শক্তির ভেতরে বিভাজন তৈরি করেছিল ওই সিরাজুল আলম খান দাদা ভাইরা। তারা এই মুক্তিযুদ্ধের শক্তির বিরুদ্ধে বিভাজন তৈরি করে জাসদ সৃষ্টি করেছে, সশস্ত্র গণবাহিনী সৃষ্টি করে সারাদেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল। একদিকে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছিল আরেকদিক বঙ্গবন্ধুর পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় তখন কোথায় ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান? কোথায় ছিলেন সেনাবাহিনী উপপ্রধান জিয়াউর রহমান? সেদিন সেই আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আর পাকিস্তানি আইএসআইয়ের মদদে এদেশের কিছু খুনীদের ভাড়া করে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারবর্গের উপর।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ১৫ আগস্টের খুনিদের বিচার হয়েছে, যারা পৃষ্ঠপোষকতা করেছে তাদেরও বিচার করতে হবে। সেদিন খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে যারা হাত মিলিয়েছিল, তারাও হত্যার সহযোগী। ১/১১ এর সময়ও একটি অপশক্তি সক্রিয় ছিল। আমরা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি, হত্যার রাজনীতির চির অবসান চাই। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার পাশে সবসময় থাকতে হবে যাতে মোশতাকের মতো কেউ অপচেষ্টায় লিপ্ত হতে না পারে। বাংলাদেশে আর কোনো ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেআইবি’র সভাপতি ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহীদুর রশীদ ভুঁইয়া। আরও উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এক এক এম সাইদুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন ৷
বাংলাদোশ সময়: ০২০২ ঘন্টা, আগস্ট ১৬, ২০২১
এসকে/এমইউএম