পাবনা: পাবনা চাটমোহরে স্কুলছাত্র ইমন হোসেন (১৭) হত্যার মূল রহস্য উদঘাটনসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান পাবনা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মহিবুল ইসলাম খান।
সম্মেলনে নিহত ইমনের পরিবারের সদস্যরাসহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেফতার পাঁচজন হলেন- চাটমোহর মির্জাপুর এলাকার মো. শামসুল মণ্ডলের ছেলে নুরুজ্জামান মণ্ডল(৩৪), মো. রবিউলের ছেলে হৃদয় (১৯) মো. রুস্তম আলীর ছেলে মো. সেলিম (১৯), মো. রুহুল আমিনের ছেলে মো. হুমায়ুন কবির টুটুল ও রাকিবুল (১৯)।
সম্মেলনে এসপি মো. মহিবুল ইসলাম খান বলেন, গত ১৮ আগস্ট রাতে পাবনা চাটমোহরে মাঝগ্রাম এলাকার নিহত ইমন হোসেন নামে এক স্কুলশিক্ষার্থী (সিএনজিচালক) হত্যা করে দুস্কৃতিকারীরা। এ ঘটনায় ১৯ আগস্ট ইমনের বাবা জাকিরুল ইসলাম বাদী হয়ে চাটমোহর থানায় ছেলে নিখোঁজের একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের ১৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ। ইমন নিখোঁজের দু’দিন পরে স্থানীয় দারাপপুর (ভাঙ্গা ব্রিজের) কাছে ডোবা থেকে ইমনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তকারী পুলিশের দল চাটমোহরের মান্নান নগরে যান। সেখানে গিয়ে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারে, ঘটনার দিনে ওই সিএনজিতে চারজন যাত্রী বেশে উঠেছিলেন। সিএনজিতে উঠে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ইমনকে হত্যা করে তার সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা। স্থানীয়দের সূত্র ধরে এক হত্যাকারীকে শনাক্ত করে পুলিশ। এর পরেই বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। আর ছিনতাইকৃত সিএনজিটি পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানাধীন এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার পাঁচ আসামি বিজ্ঞ আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির দিয়েছেন। জবানবন্দি নিয়ে তাদের ইতোমধ্যে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে এই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপর সিন্ধ আখতার, অতিরিক্ত পুলিশ সপুার মাসুদ আলম, সহকারী পুলিশ সপুার (এএসপি) সজিব শাহরীন ও সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আনোয়ার হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২১
এসআরএস