ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মশা নিধন অভিযান: ডিএনসিসিতে দেড় লাখের বেশি জরিমানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২০
মশা নিধন অভিযান: ডিএনসিসিতে দেড় লাখের বেশি জরিমানা মশা নিধন অভিযান

ঢাকা: মশক নিধনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) চলমান চিরুনি অভিযানের দ্বিতীয় দিনে ৯৫টি স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ১২টি পৃথক মামলায় দেড় লাখের বেশি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৩ নভেম্বর) ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে একযোগে এই বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম তথা চিরুনি অভিযান পরিচালিত হয়।  

অভিযানে ১৩ হাজার ১৬২টি বাড়ি এবং অন্যান্য স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়। এতে ৯৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া সাত হাজার ৯৪০টি বাড়ি এবং অন্যান্য স্থাপনায় জমে থাকা পানি পাওয়ায় সেখানে মশার কীটনাশক প্রয়োগ করে জমে থাকা পানি ফেলে দেওয়া হয়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১২টি পৃথক মামলায় মোট এক লাখ ৫৩ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হয়।

উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে পরিচালিত চিরুনি অভিযানের মতো এই অভিযানেও প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। আবার প্রতিটি সেক্টরকে ১০টি সাবসেক্টরে ভাগ করা হয়। প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডের ১টি সেক্টরে অর্থাৎ ১০টি সাবসেক্টরে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ৪০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং ১০ জন মশক নিধন কর্মী এই অভিযানে দায়িত্ব পালন করছেন। ডিএনসিসির আওতাধীন বিভিন্ন বাড়ি, স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কোথাও এডিস মশার লার্ভা আছে কিনা, কিংবা কোথাও ৩ দিনের বেশি পানি জমে আছে কিনা, কিংবা ময়লা-আবর্জনা আছে কিনা, যা এডিস মশার বংশবিস্তারে সহায়ক, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে এই অভিযানে।
 
পূর্বের চিরুনি অভিযানের ন্যায় এই চিরুনি অভিযান চলাকালে যেসব বাড়ি বা স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা কিংবা এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যাবে, তার ছবি, ঠিকানা, মোবাইল নম্বরসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে একটি অ্যাপে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে চিরুনি অভিযান শেষে ডিএনসিসির কোন কোন এলাকায় এডিস মশা বংশবিস্তার করে তার একটি ডাটাবেস তৈরি হবে। ডাটাবেস অনুযায়ী পরবর্তীতেও তাদেরকে মনিটর করা হবে। চলমান চিরুনি অভিযানে বিগত চিরুনি অভিযান থেকে প্রাপ্ত তথ্য (যা অ্যাপসে সংরক্ষিত আছে) অনুযায়ী চতুর্থ প্রজন্মের কীটনাশক নোভালিউরন প্রয়োগ করা হচ্ছে।
 
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৪ লক্ষ ৫ হাজার ৫৫০টি বাড়ি, স্থাপনা ইত্যাদি পরিদর্শন করে ২ হাজার ৬৮৬টিতে এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৫৮ লাখ ১৬ হাজার ৮১০ টাকা জরিমানা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২০
এসএইচএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।