ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ফায়ার সেফটি ছাড়া ভবন অনুমোদন নয়: প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২২
ফায়ার সেফটি ছাড়া ভবন অনুমোদন নয়: প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, ফায়ার সেফটি (অগ্নি নিরাপত্তা) ছাড়া কোনো ভবন নির্মাণ করা হলে তা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হবে না। এখন থেকে যে ভবনগুলো হবে সেগুলোতে ফায়ার সেফটি থাকতে হবে।

ফায়ার সেফটি সনদ থাকলেই সেই ভবন ব্যবহারের অনুমতি দেবে রাজউক বা সিটি করপোরেশন, এছাড়া দেওয়া হবে না।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইসাব) আয়োজিত ৮ম আন্তর্জাতিক ফায়ার, সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো ২০২২ এর সেফটি এক্সিলেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রধান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের কোম্পানিগুলো ফায়ার সেফটি ও কমপ্লায়েন্স মেনে চলায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। বিশ্বের ১০টি গ্রিন কারখানার আটটি এখন বাংলাদেশে অবস্থিত। যার ফলে বাংলাদেশের পণ্যের চাহিদা বেড়েছে, উৎপাদন বেড়েছে এবং আমরা বেশি রপ্তানি করতে পারছি।

তিনি বলেন, ফায়ার সেফটি পণ্য বেশিরভাগই দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা হচ্ছে। আমরা আমদানি নির্ভর থাকতে চাই না। দেশে একশটি ইকোনমিক জোন হচ্ছে সেখানেই ফায়ার সেফটি পণ্য উৎপাদন করা যেতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।  

ইকোনমিক জোনে প্লট পেতে কোনো সহযোগিতা লাগলেও জানানোর কথা বলেন এনামুর রহমান।  

এনামুর রহমান বলেন, দেশের ৩২টি উপজেলায় নতুন করে ফায়ার সার্ভিসের ডিপো স্থাপন করা হয়েছে এটা দেশের বড় অর্জন। আমাদের সবকিছুতেই অর্জন আছে, এ অর্জন আরও বাড়াতে হবে। ব্যবসা বাণিজ্যের শিল্পের জন্য এসব যন্ত্রপাতি খুবই প্রয়োজন সরকারের।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই-এর সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী জানান, ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিল গঠন করার মাধ্যমে ইনডোর-আউটডোর প্রশিক্ষণ দানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ভবিষ্যতে বাসা-বাড়ি ও ছোট ইন্ডাস্ট্রির জন্য ফায়ার সার্ভিস প্যাকেজ সৃষ্টি করে সবার কাছে পৌঁছানোর আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া ফায়ার সেফটি পণ্যে আমদানি নির্ভরতা থেকে বেড়িয়ে এসে বাংলাদেশ ইকোনমিক জোনে আন্তর্জাতিকমানের পণ্য উৎপাদনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে ইলেক্ট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইসাব) অগ্নি নিরাপত্তা সঠিকভাবে বজায় রাখার জন্য নয়টি কোম্পানিকে পুরস্কৃত করেছে। এছাড়া চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডু বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন ও বিস্ফোরণ মোকাবিলায় একক অগ্নিকাণ্ডে নিহত ফায়ার ফাইটারদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ১৩টি ক্রেস্ট বিতরণ করেছে। অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান তাদের মধ্যে ক্রেস্ট তুলে দেন।  

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম, ইএসএসএবি সভাপতি জহির উদ্দিন বাবর, সিনিয়র সহ-সভাপতি নিয়াজ আলী চিশতি, মহাসচিব মাহমুদুর রশীদ ও প্রচার সম্পাদক নজরুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২২
এমকে/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।