ঢাকা, বুধবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইফতারের ছোলা আসছে বন্দরে, সাপ্লাই চেন ঠিক রাখাই চ্যালেঞ্জ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২০
ইফতারের ছোলা আসছে বন্দরে, সাপ্লাই চেন ঠিক রাখাই চ্যালেঞ্জ ছোলার ফাইল ছবি।

চট্টগ্রাম: ইফতারে বাড়তি চাহিদা মোকাবিলায় প্রতি বছরের মতো এবারও চট্টগ্রাম বন্দরে আসতে শুরু করেছে ছোলার চালান। অস্ট্রেলিয়া থেকেই বেশিরভাগ ছোলা আসলেও প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমার থেকেও ছোলা আসছে।

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ পরিচালক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বুলবুল বাংলানিউজকে বলেন, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে চট্টগ্রাম বন্দরে অস্ট্রেলিয়ার ছোলা এসেছে ১ হাজার ৮২৩ টন। এরপর ভারত থেকে এসেছে ৪৭৫ টন, অস্ট্রেলিয়া থেকে আবার এসেছে ২৫৬ ও ৩৪৪ টন।

পাইপ লাইনে অনেক ছোলা রয়েছে।

তিনি জানান, নিত্যপণ্য বিশেষ করে দানাদার খাদ্যশস্য, ফলমূল ইমপোর্ট পারমিট অনুযায়ী দ্রুততম সময়ের মধ্যে ছাড় করতে সংগনিরোধ কেন্দ্রের অফিস ছুটির দিনও খোলা রাখা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, বেশিরভাগ ছোলা বাল্কে আসে বন্দরে। বড় জাহাজ থেকে বহির্নোঙরে ছোট জাহাজে খালাস করে বিভিন্ন গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া কিছু ছোলা কনটেইনারে আসছে। সেগুলো যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ডেলিভারি দেওয়া যায় সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দেশের সাপ্লাই চেন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টা চালু রাখা হয়েছে।

দেশের অন্যতম প্রধান ছোলা আমদানিকারক খাতুনগঞ্জের বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বশর বাংলানিউজকে বলেন, যতটুকু জানতে পেরেছি প্রতি বছরের চাহিদা অনুযায়ী ছোলা আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খুলেছেন আমদানিকারকেরা। করোনা পরিস্থিতির কারণে সাপ্লাই চেন ঠিক রাখাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। ইতিমধ্যে পরিবহন ভাড়া ও শ্রমিকদের মজুরি বাড়তি দিতে হচ্ছে।

তিনি জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে গত ৮ এপ্রিল বিএসএম গ্রুপের চাল, মশুর ডাল, গম, মটর, ছোলা, ভুট্টা, তৈলবীজ উৎপাদন, আমদানি, পণ্য চালান, পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে সহযোগিতার জন্য একটি নির্দেশনাপত্র পেয়েছি আমরা।

পাইকারিতে ছোলা ৫৫-৬০ টাকা

দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে এখন আমদানিকারকরা প্রতি মণ ছোলা বিক্রি করছেন ২ হাজার ৫০ টাকা থেকে ২ হাজার ২২০ টাকা। এ হিসেবে কেজি প্রতি পাইকারকে কিনতে হচ্ছে ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা। এর সঙ্গে গুদাম ভাড়া, গাড়ি ভাড়া, আড়তদারিসহ আনুষঙ্গিক খরচ যোগ করে নির্ধারণ করা হচ্ছে পাইকারি মূল্য। তবে পাইকারির সঙ্গে খুচরায় পার্থক্য দাঁড়ায় অস্বাভাবিক। বর্তমানে খুচরা দোকানে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছর রমজানের আগে ছোলার দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। তাই আগে থেকেই নজরদারি বাড়াতে হবে। অবশ্য করোনা পরিস্থিতির কারণে চাহিদা, বেচাকেনা, সরবরাহ কেমন হবে এবার তা অনুমান করা কঠিন।

তিনি বলেন, বাজারে করোনাভাইরাসের প্রতিরোধমূলক কর্মসূচিতে রমজানের নিত্য পণ্যের সাপ্লাই চেনে বিঘ্ন না ঘটলে অজুহাতে দাম বাড়ানোর সুযোগ পাবে না অসাধু ব্যবসায়ীরা।

টিসিবির ট্রাকে ছোলা ৬০ টাকা

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক প্রধান জামাল উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার থেকে চট্টগ্রামে ২২টি ট্রাকে ৮০০ টন করে ছোলা বিক্রি করা হবে ভোক্তা পর্যায়ে। অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানিকরা এ ছোলার দাম নেওয়া হবে কেজি ৬০ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।