ঢাকা, শনিবার, ১ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

তেল নিয়ে দোকানিদের লুকোচুরি, চালের দামও বাড়তি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫
তেল নিয়ে দোকানিদের লুকোচুরি, চালের দামও বাড়তি

শীতের সবজিতে ঠাণ্ডা রাজধানীর বাজার। দাম কম প্রায় সব ধরনের সবজির।

তবে চালের দাম কিছুটা বাড়তি। ভোজ্য তেল নিয়ে দোকানে দোকানে এখনও চলছে লুকোচুরি।  

শুক্রবার (১৪ফেব্রুয়ারি) রাজধানী মিরপুরের ২ নম্বর, ১০ নম্বর, ১১ নম্বর, ও ১৩ নম্বর ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

শীতকালীন সবজির বাড়তি সরবরাহের সুবাদে রাজধানীর বাজারগুলো এখনো এসব পণ্যের দাম স্বস্তিকর পর্যায়েই আছে। সস্তায় মিলছে গোল আলু, কেজি ২০ টাকা। পেঁয়াজের কেজি এখনো ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ভালো মানের গোল বেগুন পাওয়া যাচ্ছে ৬০ টাকায়, মাঝারি মানের বেগুনের কেজি বাজার ভেদে ৫০ টাকায়। তবে লম্বা বেগুন ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের কেজি ১০০ টাকা, টমেটোর কেজি ৪০ টাকা।  বাজারে দেশি শসার কেজি ৮০ টাকা, হাইব্রিড ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ক্ষিরার দাম রাখা হচ্ছে ৫০ টাকা ।  

গাজরের কেজি ৪০ টাকা, বড় ধরনের প্রতিটি লাউ ৪০ থেকে ধরন ভেদে ৬০ টাকা, শিম ৫০-৬০ টাকা, বিচিসহ শিম ৬০-৭০ টাকা, কলার হালি ৩০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, উস্তার কেজি ৮০ থেকে১০০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, মূলা ৩০ টাকা, চিচিঙ্গার কেজি ৭০ থেকে বাজার ভেদে ৮০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা এবং ঢেঁড়শের কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ২৫০ গ্রাম ধনিয়া পাতার দাম ৪০ টাকা।  

বাজারে মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ টাকা।  লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউপাতা ২০ থেকে ২৫ টাকা। আর ১৫ থেকে ২০ টাকায় মিলছে বড় আকারের চারটি লেবু। কপির দাম কিছুটা বেড়েছে। বড় ফুলকপি পাওয়া যাচ্ছ ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা। একই দামে মিলছে পাতা কপি।

রাজধানীর  বাজারে  সব ধরনের চালে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। চিকন চাল ৮২ থেকে ৮৫ টাকা, বিআর-আটাশ ৬৫ টাকা, মোটা চাল ৫২ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর ছোট বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৯০ টাকা, সোনালি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ছোট পাঙাস ও সিলভার কার্প ১৪০ থেকে বাজার ভেদে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আটশ’ গ্রাম ওজনের এক কেজি রুই মাছের দাম ৩০০ থেকে বাজার ভেদে ৩৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। দেড় কেজি থেকে দুই কেজি বা তার বেশি ওজনের রুই ও কাতল বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে।  

এক কেজি থেকে বেশি ওজনের এসব মাছ কিছুটা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চাষের টেংরা মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে বাজারভেদে ৫৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, বেলে ধরনভেদে ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, টাকির কেজি ৩৫০ টাকা, বড় শোল ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, বড় চিংড়ি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বাইম ৮০০ টাকা, বড় বাঘাইড় ১ হাজার ১০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ টাকা এবং দেশি প্রতি কেজি কই ১ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বড় আইড়ের কেজি ১ হাজার ২০০ টাকা, চিতল (এক কেজির কম) ৬০০ টাকা রাখা হচ্ছে বাজারে।

এক কেজি থেকে বেশি ওজনের ইলিশের দাম ২ হাজার ৪০০ টাকা থেকে বাজারভেদে ২ হাজার ৬০০ টাকা, ৮০০ গ্রামের ইলিশ দুই হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা, ৫০০ গ্রাম থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশের দাম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে।

আগের দামে বিক্রি হচ্ছে গরু-খাসির মাংস। স্থিতিশীল মাছের দাম। রাজধানীতে গরুর মাংসের কেজি রাখা হচ্ছে ৭৩০ থেকে ৭৫০ টাকা পর্যন্ত। তবে শবেবরাতকে কেন্দ্র করে কিছু কিছু বাজারে এরচেয়ে বেশি দামও চাওয়া হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। খাসির মাংস কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ থেকে বাজারভেদে ১ হাজার ১২০ টাকা পর্যন্ত।  

বাজারে ভোজ্য তেলের সরবরাহ এখনো কিছুটা কম। সরবরাহ কম থাকার কারণে কোনো কোনো দোকানে লিটারে ৫ থেকে  ১৫ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি করছে। তবে বড় দোকানগুলোতে দুই লিটারের বোতল ৩৫০ টাকা আর পাঁচ লিটারের বোতল ৮৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫
জেডএ/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।