ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ ভাদ্র ১৪৩১, ২৯ আগস্ট ২০২৪, ২৩ সফর ১৪৪৬

জাতীয়

বিনা দোষে কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের জামিন দিতে প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২৪
বিনা দোষে কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের জামিন দিতে প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি

ঢাকা: ২০০৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে যে সকল সদস্যরা চাকরিচ্যুত হয়েছিল তাদের আবার চাকরিতে পুনর্বহাল করাসহ বিশেষ আদালত কর্তৃক বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষকারী বিডিআর সদস্যগণ যারা প্রহসনের বিস্ফোরক মামলায় দীর্ঘ ১৬ বছর যাবৎ কারা অন্তরীণ আছেন তাদেরকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জামিন অথবা মামলা হতে মুক্ত বা অব্যাহতি প্রদান করা সহ ৯ দাবি জানিয়েছে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূসের বরাবর এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা বরাবর লেখা চিঠি পাঠ করেন চাকরিচ্যুত জেসিও মো. ফখরুউদ্দীন।

এসময় তিনি বলেন, ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যগণ তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার প্রভু দেশকে স্বন্তুষ্ট করতে ও সেনাবাহিনীর সামর্থ ক্ষুণ্ন করতে বাংলাদেশ রাইফেলস কে ধ্বংস করার জন্য প্রতিশোধ স্পৃহা থেকে এবং ক্ষমতাকে সুদৃড় করতে নীল নকশার অংশ হিসেবে সুপরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র পূর্বক পিলখানা হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করে। ওই হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন সাহাদাৎ বরন করে। ঘটনা পরবর্তী ফ্যাসিস্ট সরকার প্রহসনের বিচারের নামে আলামত ধ্বংস ও নিরীহ ৫৪ জন বিডিআর সদস্যকে নিরাপত্তা হেফাজতে হত্যা করে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে তথাকথিত বিদ্রোহ সজ্ঞায়িত করে ১৮ হাজার ৫২০ জন বিডিআর সদস্যদের কে চাকরিচ্যুতসহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করে। যে কারণে আজ হাজার হাজার বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে নয়টি দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হল–

১) ২০০৯ সালে ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর পিলখানা সংঘঠিত সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডকে তথা কথিত বিদ্রোহ সজ্ঞায়িত না করে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করতে হবে।

২) উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে গঠিত সকল প্রহসনের বিশেষ আদালত কে নির্বাহী আদেশে বাতিল করতে হবে।

৩) চাকরিচ্যুত সকল পদবির বিডিআর সদস্যকে সুযোগ সুবিধা সহ চাকুরীতে পূণর্বহাল করতে হবে।

৪) হত্যাকাণ্ড মামলার মহামান্য হাইকোর্টের বিচারকগণের রায়ের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী পিলখানার হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মোটিভ উদ্ধার ও কুশিলবদের সনাক্তকরে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।

৫) পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শাহাদত বরণকারী ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন কে শহিদের মর্যাদা দিতে হবে।

৬) ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে পিলখানার ট্র্যাজেডি দিবস হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।

৭) হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পরবর্তী তদন্ত/জিজ্ঞাসাবাদে নিরাপত্তা হেফাজতে যে সকল নিরীহ বিডিআর সদস্যদের নির্যাতনপূর্বক হত্যা করা হয়েছে তাদের তালিকা প্রকাশ পূর্বক মৃত সকল পদবীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণসহ পূর্নবার্সন করতে হবে।

৮) তদন্ত/জিজ্ঞাসাবাদে নিযুক্ত হত্যাকান্ডে জড়িত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের শনাক্ত পূর্বক বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শান্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

৯) বিশেষ আদালত কর্তৃক বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষকারী বিডিআর সদস্যগণ যারা প্রহসনের বিস্ফোরক মামলায় দীর্ঘ ১৬ বছর যাবৎ কারা অন্তরীন আছে, তাদের কে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জামিন অথবা মামলা হতে মুক্ত বা অব্যাহতি প্রদান করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা,আগস্ট ২৯,২০২৪
ইএসএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।