ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘রিজভী ও বিএনপি আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
‘রিজভী ও বিএনপি আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন’ তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: রিজভী আহমেদ ও বিএনপি দলগতভাবে আইন ও আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম মাঠে অমর একুশে বইমেলা চট্টগ্রামের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, আজ সকালে দেখলাম বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার জন্য। এ আহ্বান জানিয়ে তিনি আইন এবং আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি  প্রদর্শন করেছেন।
তিনি প্রকারান্তরে এটি বলেছেন প্রধানমন্ত্রী যেন প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন। প্রধানমন্ত্রী-তো তাকে শাস্তি দেননি। তাকে শাস্তি দিয়েছেন আদালত। তাকে মুক্ত করতে হবে আদালতের মাধ্যমে। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নেই। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এ আহ্বান জানিয়ে রিজভী আহমেদ ও বিএনপি দলগতভাবে আইন ও আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি  প্রদর্শন করেছেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রিজভী আহমেদ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া নাকি অসুস্থ। তিনি তো আগে থেকেই অসুস্থ। আদালতে নিয়ে যাওয়ার পর খালেদা জিয়ার যে চেহারা আমরা টেলিভিশনে দেখলাম, এখানে কি আপনারা অসুস্থতার ছাপ দেখেছেন? বেগম খালেদা জিয়া ঠিক আগের মতোই, পরিপাটি বেশভূষা। সানগ্লাস নিয়ে আদালতে হাজির হয়েছেন। অসুস্থতার কোনো ছাপ আমরা বেগম খালেদা জিয়ার চেহারার মধ্যে দেখতে পাইনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, রিজভী আহমেদ আরও কিছু কথা বলেছেন, যেগুলো অশোভন। রাজনৈতিক ভব্যতা এবং শালীনতা তিনি বজায় রাখেননি। আমি রিজভী আহমেদের প্রতি অনুরোধ জানাবো, আপনাদের কি মনে আছে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। তখন বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী এবং সেই গ্রেনেড হামলায় আইভী রহমানসহ আমাদের ২৪ জন নেতাকর্মী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। পাঁচশ’র বেশি নেতা-কর্মী আহত হয়েছিলেন। আমি নিজেও সেদিন গ্রেনেড হামলায় আহত হয়েছিলাম, অনেকদিন হাসপাতালে ছিলাম। এখনো আমরা শরীরে ৪০টি স্প্লিন্টার আছে।

তিনি বলেন, সেই হত্যাকাণ্ডের পর ঢাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে আমাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বৃষ্টির মতো গ্রেনেড ছুড়ে তৎকালীন সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হলো। আর এরপর যখন সংসদে এ নিয়ে কথা হলো তখন বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাকি ভ্যানিটি ব্যাগের মধ্যে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি, আপনাদের কি মনে আছে? আহসান উল্লাহ মাস্টার, কিবরিয়া সাহেবের হত্যাকাণ্ডের পর সংসদে একটি শোক প্রস্তাব আনতে চেয়েছিলাম আমরা। সেই শোক প্রস্তাব আনতে দেওয়া হয়নি। হাস্যরস করা হয়েছিল। সুতরাং রিজভী আহমেদকে অনুরোধ জানাবো, বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য আপনারা আইনি লড়াই করুন। কিন্তু গত এক বছরে আপনারা যে লড়াই করেছেন এতে সাধারণ মানুষ মনে করে আপনাদের আন্তরিকতার অভাব আছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।