পাশাপাশি নিচে পথচারী পারাপারের অংশটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে ফুটওভার ব্রিজটি ব্যবহার করছেন পথচারীরা।
বুধবার (২২ মে) দুপুর দুটার দিকে মুরাদপুর মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, পথচারী পারাপারের জন্য ফ্লাইওভারের নিচে খোলা অংশটি লোহার গ্রিল লাগিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এজন্য পথচারীরা ব্রিজটি ব্যবহারে বাধ্য হচ্ছেন।
মুরাদপুর মোড়ে কথা হয় চট্টগ্রাম কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত ইয়াসমিনের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আগে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হতে হতো।
‘সারাক্ষণ গাড়ীর চাপ থাকতো বিধায় সহজ রাস্তা পারাপার সম্ভব ছিল না। এখন সেই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলেছে। ’
সিডিএ সূত্র জানায়, ব্রিজটি নির্মাণে ৫৩ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এটি বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ভবনের সামনে থেকে পুলিশ বক্স বরাবর গিয়ে নেমেছে।
প্রকল্প পরিচালক ও সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ১১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থের ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে স্টিল স্ট্রাকচারে।
এর আগে যানজট এড়াতে লালখান বাজার থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার নির্মাণ করে সিডিএ। ফলে মুরাদপুর, ষোলশহর, দুই নম্বর গেট, জিইসি, ওয়াসা, লালখান বাজার পর্যন্ত যানজট অনেকটা কমে গেছে। তবে ফ্লাইওভারের নিচে এখনো মানবসৃষ্ট যানজট রয়ে গেছে। এজন্য সিডিএ এসব ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে বুধবার সকালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ব্রিজটি চালুর পর মুরাদপুরে মানবসৃষ্ট যানজট আর থাকবে না।
উল্লেখ্য, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে বহদ্দারহাট পর্যন্ত বিস্তৃত সড়কটি চট্টগ্রামের লাইফলাইন হিসেবে খ্যাত। সিডিএর হিসেবে, গড়ে প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে দেড় লাখের বেশি যানবাহন চলাচল করে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৮
এসইউ/টিসি