ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ম্যাজিস্ট্রেট আসতেই মাল্টার দাম কেজিতে কমলো ৬০ টাকা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২০
ম্যাজিস্ট্রেট আসতেই মাল্টার দাম কেজিতে কমলো ৬০ টাকা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অভিযান। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: নগরে ফলের বৃহত্তম পাইকারি বাজার ফলমণ্ডিতে জেলা প্রশাসনের অভিযানের মুখে মাল্টার দাম কেজি প্রতি ৬০ টাকা কমেছে। অভিযানের আগে  ফলের আড়তদাররা কেজি প্রতি মাল্টা ১৬০ টাকায় বিক্রি করলেও অভিযানের পর তা ১০০ টাকায় নেমে আসে।

বুধবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে পুরাতন রেলস্টেশন সংলগ্ন ফলমণ্ডিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম।

ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, গতকাল ফলমণ্ডিতে একদফা অভিযানের পর কেজি প্রতি ৮০ টাকার মাল্টা পাইকারিতে ১৬০ টাকায় বিক্রির বিষয়টি ধরা পড়ে। এজন্য দুটি আড়তদারকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে বাকিদের ন্যায্যমূল্যে ফল বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, বুধবার খুচরো বাজারে অভিযানের প্রভাব দেখতে ফের অভিযান পরিচালনা করলে কয়েকজন বিক্রেতা আমাদের কাছে অভিযোগ করেন, ১৬০ টাকা দামেই এখনও মাল্টা আড়তে বিক্রি হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন খুচরো বিক্রেতাকে নিয়ে ফলমণ্ডিতে দ্বিতীয় দফায় অভিযান পরিচালনা করি।

‘বাড়তি মূল্যে মাল্টা বিক্রির দায়ে জুলেখা এন্টারপ্রাইজকে ২০ হাজার, আজম ট্রেডার্সকে ৩০ হাজার, এন এম এন্টারপ্রাইজকে ৩০ হাজার, জে কে ফ্রুটসকে ১০ হাজার এবং মনির এন্টারপ্রাইজকে ৩০ হাজারসহ মোট ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানের মুখে মাল্টা কেজি প্রতি ১০০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হয় আড়তদাররা। ’

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এই ম্যাজিস্ট্রেট জানান, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি কমাতে যা সাহায্য করে। এ ছাড়া রমজান উপলক্ষে মাল্টা জাতীয় ফল ইফতারি আইটেম হিসেবেও মানুষ পছন্দ করে। এই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই মাল্টার ইচ্ছেমতো দাম আদায় করা হচ্ছে।

‘ঢাকাভিত্তিক ফল আমদানিকারকরা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাল খালাসের পর চট্টগ্রামের ফলমণ্ডির বিভিন্ন আড়তদারকে ফল পাঠিয়ে দেন। ফোনে ফোনে আড়তদারকে ফলের দাম নির্ধারণ করে দেন। পেপারলেস মার্কেট তৈরি করে ফলের দাম ইচ্ছেমতো আদায় করেন। বেশকিছু আমদানিকারকের তথ্য আমরা নিয়েছি। তাদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। ’

দাম স্বাভাবিক রাখতে ফলমণ্ডিতে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বদিউল আলম বাংলানিউজকে জানান, চট্টগ্রামের পাইকারি এবং খুচরো বাজারগুলোতে জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং কার্যক্রম রমজান মাসজুড়ে অব্যাহত থাকবে।

পণ্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি কিংবা সিন্ডিকেট করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২০
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।