চট্টগ্রাম: নগরের পূর্ব মাদারবাড়ি এলাকায় মোটরসাইকেলে এসেই হঠাৎ গুলি করে ও কুপিয়ে তিনজনকে জখম করা হয়েছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে সদরঘাট থানা পূর্ব মাদারবাড়ির মহব্বত গলি পুরাতন কাস্টম এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ হয়েছেন রিয়াদ (১৭), আর ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন সাইফুল (১৭) ও নূর উদ্দিন (২৪)। তারা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা মো. জিলানী বাংলানিউজকে বলেন, শাহেদ পাড়ার নাক্কা আলম, সজল, জাকির, জাবেদ, টিঠু, ইকবাল, মামুন, নয়ন, দিশু, নূর জামান ও আলমগীর মোটরসাইকেলে এসে কুপিয়েছে ও গুলি চালিয়েছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর অভিযানে নাক্কা আলমের ভাই জাহাঙ্গীর মাঝিকে ১৮শ’ ইয়াবা ও দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সে সময় অস্ত্রসহ পালিয়ে গিয়েছিল নাক্কা আলম। জাহাঙ্গীর মাঝিকে গ্রেপ্তারের সময়ও সহযোগীদের ওপর গুলি ও কুপিয়ে হামলা করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ছয়টি মোটরসাইকেলে করে প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন এসেছিল। প্রথমে দাঁড়িয়ে থাকা শুভকে কোপানোর চেষ্টা করা হয়। পরে সাইফুলকে কিরিচ দিয়ে কোপানো হয়। আরমান ও নূর উদ্দীনের মধ্যে একজনকে হাতে ও অন্যজনকে মুখে কোপ দেওয়া হয়। এরপর রিয়াদ ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে গুলি করা হয়।
শাহেদ পাড়ায় দীর্ঘদিন ধরেই মাদকের রমরমা ব্যবসা চলে আসছে। প্রায় ১৭ বছর ধরে নাক্কা আলম এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাদের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
কোতোয়ালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) নূরে আল মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। প্রতিমা বিসর্জনের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর টাস্কফোর্স-৪ (৩৪ কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড) এর অধীনে পূর্ব মাদারবাড়ি এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামে পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর মাঝিকে গ্রেপ্তার করা হয়। জাহাঙ্গীর মাঝি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি। দীর্ঘদিন ধরে জাহাঙ্গীর মাঝি সদরঘাটসহ আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম, চাঁদাবাজি ও মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত।
এমআই/টিসি